কক্সবাজারের টেকনাফ হোয়াইক্যং ইউনিয়নের খারাংগ্যাঘোনা এলাকায় বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) তিন জেলের উপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় জেলেদরে কাছ থেকে নগদ টাকা ও মুঠোফোন লুট করেছে হামলাকারী বিজিপি সদস্যরা। তিন জনের মধ্যে গুরুতর আহত মোস্তাক নামে এক জেলেকে স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, ১৮ নভেম্বর সকালে খারাইগ্যাঘোনা গ্রামের তিন জেলে আব্দুল মালেকের ছেলে মোস্তাক আহমদ, আবুল মঞ্জুরের ছেলে মোহাম্মদ হোছেন (৩২) এবং আবুল খাইরের ছেলে আব্দুর রহিম (৪৭) সমিতি প্যারাবন এলাকায় প্রতিদিনের মতো মাছ কিনতে যান। এসময় বিজিপি কয়েক সদস্য একটি ইঞ্জিন চালিত বোট নিয়ে নাফ নদীর মিয়ানমার সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের সীমানায় ঢুকে বাংলাদেশি জেলেদের নৌকায় ধাক্কা দেয়। মাছ কিনতে যাওয়া জেলেদের আটক করে দশ হাজার টাকা ও তিনটি মোবাইল সেট হাতিয়ে নেয়া হয় বলে জানান আহত মোস্তাক আহাম্মদ। মোস্তাক আরও বলেন, মিয়ানমারের ওই নৌকায় ৩ বিজিপি সদস্য ছিল। তাদের হাতে অস্ত্র না দেখে প্রায় ঘণ্টাখানেক বাক বিতণ্ডা করেন তারা। বিজিপি সদস্যরা এক পর্যায়ে কাঠের লাঠি দিয়ে এ তিন মাঝিকে বেধড়ক পেটায়। এসময় তাদের চিৎকারে শুনে আশপাশের জেলে ও শ্রমিকরা এগিয়ে এলে বিজিপি তাদের বোটটি রেখে পালিয়ে যায়। আহত জেলেসহ বিজিপির বোটটি হোয়াইক্যং বিওপিকে হস্তান্তর করে উদ্ধারকারীরা। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তফা কামাল চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। হোয়াইক্যং বিওপির কোম্পানি কমান্ডার আব্দু সালাম জেলেদের উপর মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, নৌকাটি বিজিবির হেফাজতে রয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। সায়ীদ আলমগীর/এমজেড/পিআর
Advertisement