দেশজুড়ে

পাবনায় শতবর্ষী গাছ কাটলেন চেয়ারম্যান

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অশোক কুমার প্রণো ঘোষ প্রায় লাখ টাকা মূল্যের একটি শতবর্ষী সরকারি গাছ কেটে নিয়েছেন। বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। পরে সাংবাদিকরা সেখানে গিয়ে দেখতে পান চেয়ারম্যানের নিয়োগ করা কয়েকজন শ্রমিক শত বছরের প্রাচীন ওই আম গাছটি কেটে নিচ্ছেন। স্থানীয়রা জানান, গাছটি সরকারি সম্পত্তির উপর রয়েছে। দিলপাশার ইউনিয়ন ভূমি অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পুরাতন খতিয়ানে এই সম্পত্তি পিরপাল খানেযোদ্ধা ও কোমর উদ্দিন ফকিরের নামে রেকর্ড থাকলেও দখল বিষয়ক মন্তব্যে হিন্দু ও মুসলিম সাধারণের ব্যবহারের কথা উল্লেখ রয়েছে। প্রায় শত বছর পতিত থাকার পর ১৯৮৭ সালে এ সম্পত্তির উপর দিলপাশার ইউনিয়ন পরিষদের আধাপাকা একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। তখন থেকে দিলপাশার ইউনিয়ন পরিষদের আঙিনা হিসেবে এটি ব্যবহৃত হচ্ছে। সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন ভবন ভেঙে গাছটির ১০ ফুট দূরে নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়। আর আঙিনায় থাকা প্রাচীন ওই আম গাছটি সবুজ ডালপালা নিয়ে জনসাধারণকে ছায়া প্রদান করে আসছিল। এলাকাবাসী জানান, দূরদরান্ত থেকে আসা নারী-পুরুষ ওই গাছের নিচে বসে কিছু সময়ের জন্য প্রশান্তি পেতেন। তারা গাছটিকে বন্ধুর মত মনে করতেন। তারা অভিযোগ করেন, বর্তমান চেয়ারম্যান প্রণো ঘোষ ইউনিয়ন তহশিলদার নজরুল ইসলামের সহযোগিতায় অবৈধভাবে গাছটি কেটে আত্মসাতের চেষ্টা করছেন। এ ব্যাপারে ভাঙ্গুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামছুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি গাছ কাটার কথা স্বীকার করে জাগো নিউজকে বলেন, খবর পেয়ে তিনি বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থলে একজন সার্ভেয়ারকে পাঠিয়ে এর সত্যতা পান। ইউএনও জানান, গাছ কাটা ঠিক হয়নি। এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কর্তিত গাছটি যাতে চেয়ারম্যানের লোকজন সরিয়ে না নিতে পারে সে ব্যাপারেও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান ইউএনও। এদিকে এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান প্রণো ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে গাছটি তার নির্দেশে কাটা হচ্ছে স্বীকার করে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, এটি সরকারি গাছ নয়। কিন্ত গাছটির মালিক তিনি কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো সদুত্তর না দিয়ে বলেন, গাছটি পোকায় খেয়েছিল। যেকোনো সময় ভেঙে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। এজন্যই কাটা হয়েছে। একে জামান/এমজেড/পিআর

Advertisement