মারপিট, ঝাড়-ফুঁক ও পানি পড়া দিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে চলছে অপচিকিৎসা। আধুনিক চিকিৎসার যুগেও বিভিন্ন এলাকা থেকে ভণ্ড কবিরাজ জাহাঙ্গীর আলম স্বপনের কাছে মানুষ চিকিৎসা নিতে আসেন। দীর্ঘ দিন ধরে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর ইউনিয়নের খোর্দ্দনারায়নপুর গ্রামে এভাবে এলাকার দরিদ্র ও অশিক্ষিত লোকদের ঠকিয়ে মাজারে দান ও তাবিজ বিক্রির নামে হাতিয়ে নিচ্ছেন হাজার হাজার টাকা।বিভিন্ন অজুহাতে রোগীর কাছ থেকে প্রতারণা করে টাকা নেয়ার অভিযোগে ভণ্ড কবিরাজ জাহাঙ্গীর আলম স্বপনকে (৫০) অবশেষে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে জেলার মহাদেবপুর উপজেলার খোর্দ্দনারায়নপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে চিকিৎসার সময় তাকে আটক করে। আটককৃত কবিরাজ একই গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে।জানা যায়, হঠাৎ করে গত আড়াই বছর থেকে একটি পুরাতন কবরকে মাজার তৈরি করে অপচিকিৎসা করে আসছিলেন তিনি। অপচিকিৎসা করার সময় রোগীদের মারপিট ও বিভিন্নভাবে টাকা হাতিয়ে নেন। গত কয়েক দিন আগে একই উপজেলার দক্ষিণ লক্ষীপুর গ্রামের শুভ ইসলাম নামে এক যুবক ভণ্ড কবিরাজের সাগ্রেতের প্ররোচণায় চিকিৎসা নিতে আসেন। এসময় শুভ ইসলামকে চিকিৎসার নামে মারপিট করা হয়। এরপর তিনি ও এলাকাবাসী জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জনসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগে আরো জানা গেছে, ভণ্ড কবিরাজ স্বপনের কাছে আসা রোগীদের জীন, পরী, ভূত-পেত্নী ধরেছে বলে পানি পড়া দিতেন। পাশাপাশি চিকিৎসার নামে পুরুষ রোগীদের লাঠি দিয়ে, নারীদের হাত দিয়ে মারপিট করা হয়। শেষে ওষুধের নাম করে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। এদিকে স্বপন রোগীদেরকে মারপিট করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।নওগাঁর সিভিল সার্জন ডা. মোজাহার হোসেন বুলবুল জাগো নিউজকে জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে খোর্দ্দনারায়নপুর গ্রামে ভণ্ড কবিরাজের বাড়ি গিয়ে এর সত্যতা পেলে থানা পুলিশের মাধ্যমে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।আব্বাস আলী/এমজেড/পিআর
Advertisement