হরতালকে ঘিরে বুধবার সন্ধ্যার আগ থেকেই রাজধানীতে কমতে শুরু করেছে প্রাইভেট কার এবং গণপরিবহনের সংখ্যা। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিস ফেরত মানুষ। জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের আহ্বান করেছে দলটি। বুধবার জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ এক বিবৃতিতে এ হরতালের আহ্বান জানান। রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে ফাঁসির রায় বহালের প্রতিবাদে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করেছে জামায়াত-শিবির। তবে দীর্ঘদিন পর ঢাকাসহ সারাদেশে জামায়াত বিক্ষোভ মিছিল করাতে সাধারণ মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে এক ধরনের আতংক।পল্টন মোড়ে মিরপুরের গাড়ির জন্য অপেক্ষমাণ ব্যাংক কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, অনেকক্ষণ থেকেই মিরপুরে যাওয়ার জন্য গাড়ির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছি। প্রতিদিনের তুলনায় আজ গাড়ির সংখ্যা কিছুটা কম থাকাতেই এ ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। কিছুটা আতংকিত মোফাজ্জল হোসেন বলেন, জামায়াতের ছেলেদের বিশ্বাস নেই। তারা যেকোনো সময় পেট্রলবোমা মেরে আগুন ধরিয়ে দিতে পারে। তাই একটু ভয়-ভয়ও লাগছে। রামপুরার গাড়ির জন্য অপেক্ষায় থাকা আবদুল আজিজ বলেন, যুদ্ধাপরাধ মামলায় জামায়াত নেতাদের সাজার ইস্যুতে ডাকা হরতাল-বিক্ষোভ কর্মসূচিতে জামায়াত পেট্রলবোমা হামলা, ঝটিকা মিছিল থেকে গাড়িতে আগুন এবং যে পরিমাণ সহিংস কর্মকাণ্ড করেছে তাতে মানুষ জামায়াতের ডাকা হরতালকে গণতন্ত্র বিরোধী কর্মকাণ্ড মনে করছে।আগামী কালকের (বৃহস্পতিবার) হরতালে যেনো জামায়াত-শিবির মানুষের জান-মালের ক্ষতি করতে না পারে সে জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আরো শতর্ক থাকতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) আবু ইউসুফ বলেন, সন্ধ্যার আগে রাস্তায় গাড়ি কম থাকলেও পরে তা স্বাভাবিক হয়েছে। তবে কি কারণে রাস্তায় গাড়ি কম ছিল সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেন নি। এদিকে হরতালকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিজিবি। এএম/এসএইচএস/এএইচ/পিআর
Advertisement