সাহিত্য

প্রকাশ হলো পুলিশ সুপার দেওয়ান লালন আহমেদের দুটি বই

‘আকাশে হারায় বুকের স্বপ্ন, নক্ষত্রের আড়ালে ডুবে যায় মায়া। ফেনিল সাগরের নি:সঙ্গ বেদনা, বিদীর্ণ স্বপ্ন, নিভৃতের মগ্নতা আর পাঁজরের বুননে ক্ষয়, জীবন আসলে বর্ণময় বেদনার তীর্থ। বুকের অগ্নিগর্ভ থেকে দগদগে লাভা উদগীরণ হয় চোখের ভেতর জমান শিশিরে। যাতনার শম পেতে খুঁজে পাওয়া নির্বাণ টুকুও বেদনার শেষ অশ্রুবিন্দু যা সদা টলমলে। অন্ধকারে জোনাক চোখে স্বপ্ন তবুও ঝরে পড়া ফুলের দীর্ঘশ্বাস।

Advertisement

পাথরের পরম পিপাসার প্রখর প্রহরে চোখের জলে লেখা কাব্য, নিবেদিত তরুতলের আচ্ছাদিত ধূসর বাকল আবেগী চোখ অন্ধ করে, কান্নার রঙের আঁখর স্মৃতির ফ্রেমে পরিকীর্ন। অবর আঁচর পুড়তে পুড়তে সারৎসার এবং ভালবাসা বেদনাতেই বাঙময়। তাই বেদনার বিবর্ণ বাকল সেই অনুভব হয়ে উঠে গীতিকাব্যে’- বলছিলেন পুলিশ সুপার দেওয়ান লালন আহমেদ।

এসবই লালনের ষষ্ঠ গ্রন্থ ‘বেদনার বিবর্ণ বাকল’-এর কথা। বইটি অন্যপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত হয়েছে সম্প্রতি। এটা গীতিকাব্যে লেখা একটি কাব্যগ্রন্থ।

এছাড়াও প্রকাশ হয়েছে দেওয়ান লালন আহমেদের আরও একটি বই। তার সপ্তম সেই গ্রন্থের নাম ‘সারেং ছাড়া জাহাজ চলে’। এটি লালন ফকিরের দর্শন নিয়ে গীতিকাব্য। বইটি মিজান পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত হয়েছে।

Advertisement

লেখক এই বইটি সম্পর্কে বলেন, ‘ফকির লালনের মানবতত্ত্ব জীবন বোধের গূঢ় অনুভূতি। তাই তো বায়ুতে বিষ লেগেছে ঘরে ঘরে মড়ক ।অতিমারীর এই আঁধার কাটবেই, জীবনের কোলাহল আবার ভরে উঠবে । পৃথিবীর উপর মানুষের ক্রমাগত উৎপীড়ণ ‘করোনা’ আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছে।

বিষয়মোহের জালে মায়া সঞ্চয় আমাদের ভেতরের স্বত্তাকে আপন স্বরুপে আসতে দেয় না। দিশাহীন বোধে অদেখা তরিক খুঁজে অবোধ মন। দেহের আগুনের ঘরে পদ্ম শতদল আর সাধক অমাবস্যা দেহ মনে ধারণ করে সময়ের সাধনে দিব্যজ্ঞান লাভ করে।মনমাঝির সাথে অদৃশ্য কারসাজি চলে পরওয়ারদেগারের ইশারায় ভবের নদীতে জাহাজ চলে সারেং ছাড়া।’

প্রসঙ্গত, দেওয়ান লালন আহমেদ বর্তমানে খুলনা অঞ্চলের ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি গীতিকার হিসেবেও বেশ সমাদৃত। অডিও গানের পাশাপাশি লিখেছেন সিনেমারও জন্য। দেওয়ান লালন একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।

এলএ/এএসএম

Advertisement