চীনের মূল ভূখণ্ডে গত প্রায় ২ মাস ধরে স্থানীয়ভাবে নতুন করে কোনো সংক্রমণের ঘটনা ঘটেনি। সোমবার সরকারিভাবে প্রকাশিত বিভিন্ন তথ্য থেকে নতুন সংক্রমণ না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে সংক্রমণের গতি আটকে দেয়া সম্ভব হয়েছে বলেও সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে।
Advertisement
ন্যাশনাথ হেলথ কমিশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমণের সংখ্যা ১৪। এদের সবাই বহিরাগত। আগের দিনের তুলনায় সংক্রমণের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। একদিন আগেই নতুন সংক্রমণ ছিল ১২। আক্রান্তদের মধ্যে সাতজন সাংহাইয়ের এবং বাকিরা দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশের।
গত ১৬ ডিসেম্বরের পর এই প্রথম চীনে স্থানীয়ভাবে নতুন করে কোনো সংক্রমণ পাওয়া যায়নি। বেইজিংয়ের কাছাকাছি থাকা হেবেই প্রদেশ, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় হেইলংজিয়াং এবং জিলিন প্রদেশে কঠোর বিধি-নিষেধ জারির কারণে কর্তৃপক্ষ সংক্রমণের গতি থামাতে সক্ষম হয়েছে।
উপসর্গহীন রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। ন্যাশনাল হেলথ কমিশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই সংখ্যা বেড়ে ১০ থেকে ১৬তে দাঁড়িয়েছে। চীনে উপসর্গহীন রোগীদের নিশ্চিত সংক্রমণ বলে চিহ্নিত করা হয় না। ফলে মোট সংক্রমণের তালিকায় এই সংখ্যা যোগ হয় না।
Advertisement
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপর থেকেই বিভিন্ন দেশে এই ভাইরাসের তাণ্ডব শুরু হয়। বিশ্বের ২১৯টি দেশ ও অঞ্চলে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চীনে এখন পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯ হাজার ৭০৬। অপরদিকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ৪ হাজার ৬৩৬ জন। ইতোমধ্যেই করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৮৩ হাজার ৯৫২ জন। দেশটিতে বর্তমানে করোনার অ্যাক্টিভ কেস ১ হাজার ১১৮। অপরদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে ২০ জন।
টিটিএন/জেআইএম
Advertisement