জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, শুধুমাত্র আইনি কাঠামোর মাধ্যমে দেশের বাল্যবিবাহ রোধ করা সম্ভব না। এর পাশাপাশি আমাদের তৃণমূল পর্যায়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হবে। তাহলেই এক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করা সম্ভব। জাতীয় সংসদের শপথ কক্ষে বুধবার জাতীয় সংসদ এবং Inter–Parliamentary Union (আইপিইউ)-এর যৌথ উদ্যোগে Capacity Building for Addressing Child Marraige and Birth & Marraige Registration শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি। স্পিকার বলেন, মানব উন্নয়ন সূচক, অর্থনৈতিক উন্নয়ন সূচক, দারিদ্র্য বিমোচন, মাতৃ ও শিশু মৃত্যু হার হ্রাসের মাধ্যমে সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশে বাল্য বিবাহের হার উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে এ হার আরো কমে আসবে। স্পিকার নারীর ক্ষমতায়ন, জেন্ডার সমতাকরণ নিশ্চিতকরণসহ মানবসম্পদ উন্নয়নে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। সমাজ থেকে বাল্যবিবাহ দূরীকরনের জন্য সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে স্পিকার বলেন, দরিদ্রতা বাংলাদেশে বাল্যবিবাহের অন্যতম বড় কারণ হলেও এর পাশাপাশি সামাজিক বৈষম্য, ধর্ম, সামাজিক রীতিনীতি, নৈতিক শিক্ষা অর্জনের অভাব, কুসংস্কার এবং মেয়েদের নিরাপত্তাহীনতা দায়ী। তাই বাল্যবিবাহ রোধ ও সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টিতে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সংসদ সদস্যদের এগিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আশরাফুল মকবুলের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হাবিবে মিল্লাত এমপি এবং আইপিইউ এর কনসালটেন্ট মিজ ব্রিগিটি ফিলিয়ন। অনুষ্ঠানে হুইপ মো. শাহাব উদ্দিন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদসহ সংসদ সদস্যরা এবং আইপিইউ এর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এইচএস/একে/পিআর
Advertisement