ধর্ম

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়লেই ৫০ ওয়াক্তের সাওয়াব

প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়া আবশ্যক। আল্লাহ তাআলা উম্মতে মুহাম্মাদির জন্য ৫০ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছিলেন। পরে তা পাঁচ ওয়াক্তে এসে স্থির হয়। হাদিসের বর্ণনায় এমনটিই প্রমাণিত, যারা ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়বে তাদের জন্য পঞ্চাশ ওয়াক্তের সাওয়াবই মিলবে।

Advertisement

আল্লাহ তাআলার কোনো কথা বা ওয়াদার পরিবর্তন হয় না। তিনি বান্দাকে পাঁচ ওয়াক্ত আদায়ের মাধ্যমে ৫০ ওয়াক্তের সাওয়াব দেবেন। হাদিসে এসেছে-

হজরত আনাস ইবনু মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, মেরাজের রাতে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উপর ৫০ (পঞ্চাশ) ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়েছিল। তারপর কমাতে কমাতে ৫ (পাঁচ) ওয়াক্তে সীমাবদ্ধ করা হয়। তারপর (আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে) ঘোষণা করা হল-

‘হে মুহাম্মাদ! সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম; আমার কাছে কথার কোনো অদল-বদল নেই। আপনার জন্য এই পাঁচ ওয়াক্তের মধ্যে পঞ্চাশ ওয়াক্তের সওয়াব রয়েছে।’ (তিরমিজি, বুখারি ও মুসলিম)

Advertisement

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামাজ যথাযথভাবে আদায় করা। কেননা এ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করলেই মহান আল্লাহ তাআলা বান্দাকে ৫০ ওয়াক্ত নামাজের সাওয়াব দান করবেন।

তাছাড়া নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের আলাদা অজু, দোয়া, তাসবিহর সাওয়াব তো রয়েছেই। যারা ৫ ‍ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন, এমনিতেই তাদের গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। হাদিসে এসেছে-

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, পাঁচ ওয়াক্তের নামাজ এবং জুমআর নামাজ; (এক জুমআ হতে) পরবর্তী জুমআর নামাজে তার মাঝখানে সংঘটিত (ছোটখাট) গোনাহসমূহের কাফফারা (ক্ষতিপূরণ) হয়ে যায়; তবে শর্ত হল কাবীরা গুনাহ হতে বেঁচে থাকতে হবে।’ (তিরমিজি, তালিকুর রাগিব)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Advertisement

এমএমএস/জেআইএম