২০১৯ সালের ডিসেম্বরে নেপালের কাঠমান্ডু ও পোখারায় অনুষ্ঠিত ১৩ তম সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে ১৯ স্বর্ণপদক পেয়েছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের স্বর্ণ পদকের ঘরে ১৯-এর জায়গায় ২০ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। অর্থাৎ ১৪ মাস আগে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় এই গেমসের স্বর্ণ বাড়তে পারে বাংলাদেশের।
Advertisement
২০তম স্বর্ণ পদকটি পাওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে ভারোত্তোলনে। মেয়েদের ৮১ কেজি ওজন শ্রেণিতে স্বর্ণ পাওয়া ভারতীয় ভারোত্তোলক শারস্তি সিং ডোপিং টেস্টে পজিটিভ হওয়ায় তার পদক বাতিল হতে পারে। বাতিল হলে এই ইভেন্টের স্বর্ণ উঠবে বাংলাদেশের জহুরা খাতুন নিশার হাতে।
ভারতীয় ভারোত্তোলকের ডোপ টেস্টে পজিটিভ হওয়ার খবর অনেক আগেই পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনে (বিওএ)। তবে ভারতীয় ভারোত্তোলকের ডোপ কেলেঙ্কারির পর এই ইভেন্টের ভাগ্যে কি আছে, সে সিদ্ধান্ত নেবে সাউথ এশিয়ান অলিম্পিক কাউন্সিল। তার আগে ওয়ার্ল্ড এন্টি ডোপিং এজেন্সি এবং রিজিওনাল এন্টি ডোপিং অর্গানাইজেশন থেকে সিদ্ধান্ত আসতে হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ফখরুদ্দিন হায়দার জাগো নিউজকে বলেছেন, ‘গত এসএ গেমসে পদক পাওয়া দুইজন অ্যাথলেট ডোপ টেস্টে পজিটিভ হয়েছেন। একজন ভারতীয় ভারোত্তালক এবং একজন পাকিস্তানের অ্যাথলেট। সাউথ এশিয়ান অলিম্পিক কমিটির সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। তবে পরবর্তী সভা কবে হবে, তারিখ এখনো ঠিক হয়নি।’
Advertisement
বিওএর এই কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘সবকিছু নির্ভর করছে ওয়ার্ল্ড এন্টি ডোপিং এজেন্সি এবং রিজিওনাল এন্টি ডোপিং অর্গানাইজেশন কি সিদ্ধান্ত দেয় তার ওপর। কারণ, কেউ জানে না এই দুটি সংস্থা কি সিদ্ধান্ত দেবে ডোপটেস্টে পজিটিভ হওয়া দুই ক্রীড়াবিদের বিষয়ে। যখন সিদ্ধান্ত আসে, তখন দেখা যাবে।’
মেয়েদের ৮১ কেজি ওজন শ্রেণিতে বাংলাদেশের জহুরা খাতুন নিশা স্ন্যাচ ও ক্লিন অ্যান্ড জার্ক মিলিয়ে ১৬৮ কেজি তুলে রৌপ্য জিতেছিলেন। ভারতীয় ভারোত্তোলক স্বর্ণ জিতেছিলেন ২০৭ কেজি তুলে।
এর আগে ২০০৪ সালে পাকিস্তানের ইসলামাবাদ এসএ গেমসের দুই বছর পর পদক পরিবর্তন হয়েছিল বাংলাদেশের দুই ভারোত্তোলক বিদ্যুৎ কুমার রায় ও হামিদুল ইসলামের। দুই জনই ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরিতে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন।
স্বর্ণ ছিল পাকিস্তানের এবং রৌপ্য ভারতের। পাকিস্তানের দুই ভারোত্তোলক ডোপ টেস্টে পজিটিভ হলে স্বর্ণ পেয়েছিলেন ভারতীয়রা এবং বাংলাদেশের দুই ভারোত্তোলকের পদক ব্রোঞ্জ থেকে হয়েছিল রৌপ্য।
Advertisement
২০০৬ সালে বাংলাদেশের দুই ভারোত্তোলকের ব্রোঞ্জ পদক প্রত্যাহার প্রদান করা হয়েছিল রৌপ্য। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন তখন একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিদ্যুৎ ও হামিদুলের হাতে রৌপ্য পদক তুলে দিয়েছিল।
সর্বশেষ এসএ গেমসে বাংলাদেশের পাওয়া ১৯ স্বর্ণের মধ্যে সর্বাধিক ১০টি আরচারি থেকে। তিনটি স্বর্ণ এসেছিল কারাতে থাকে। দুটি করে স্বর্ণপদক এসেছিল ক্রিকেট ও ভারোত্তোলন থেকে। তায়কোয়ানদো ও ফেন্সিং থেকে বাংলাদেশ পেয়েছিল একটি করে স্বর্ণপদক।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ১৯ স্বর্ণ, ৩৩ রৌপ্য এবং ৯০ ব্রোঞ্জসহ ১৪২টি পদক জিতেছিল সর্বশেষ এসএ গেমসে।
আরআই/এমএমআর/জেআইএম