জাতীয়

১১ মাসে করোনার নানা তথ্য

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ১১ মাস পেরিয়েছে। এ সময়ের মধ্যে করোনার নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় কখনো শনাক্ত, মৃত্যু ও সুস্থতা কমেছে, আবার কখনো বেড়েছে। ২০২০ সালের মার্চ থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত এ বিষয়ক পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

Advertisement

পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। ওইদিন থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজধানীসহ সারাদেশে করোনা শনাক্তের লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে পরিচালিত আরটিসিপিসিআরসহ বিভিন্ন ল্যাবরেটরিতে ৩২ লাখ ৯৮ হাজার ৫৯৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ সময় ৫ লাখ ১৩ হাজার ৫১০ জন রোগী শনাক্ত হয়। এর মধ্যে ৪ লাখ ৫৭ হাজার ৪৫৯ জন সুস্থ ও ৭ হাজার ৫৫৯ জনের মৃত্যু হয়।

এদিকে, ২০২০ সালের মার্চ থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ৩৬ লাখ ৫১ হাজার ৭২২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ১৩৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এর মধ্যে ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৭৪৪ জন সুস্থ এবং ৮ হাজার ১২৭ জনের মৃত্যু হয়।

মাসিক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে ৪ লাখ ২৪ হাজার ১২৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ২১ হাজার ৬২৯ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এর মধ্যে ২২ হাজার ২৮৫ জন সুস্থ এবং ৫৬৮ জনের মৃত্যু হয়।

Advertisement

এর মধ্যে ১৪ জানুয়ারি সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ৭৩৭টি নমুনা সংগ্রহ হয় এবং ২ জানুয়ারি সর্বনিম্ন ৯ হাজার ৫০৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ১৪ জানুয়ারি সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ৬০৮টি নমুনা পরীক্ষা হয় এবং ২ জানুয়ারি সর্বনিম্ন ৯ হাজার ৭০১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

গত ১০ জানুয়ারি সর্বোচ্চ একহাজার ৭১ জন এবং ৩০ জানুয়ারি সর্বনিম্ন ৩৬৩ জন শনাক্ত হন। ১ জানুয়ারি সর্বোচ্চ একহাজার ১৯৭ জন এবং ৩০ জানুয়ারি সর্বনিম্ন ৩৩৭ জন সুস্থ হন। ৭ জানুয়ারি সর্বোচ্চ ৩১ জন এবং ২৯ জানুয়ারি সর্বনিম্ন সাতজনের মৃত্যু হয়।

গত ১০ জানুয়ারি সর্বোচ্চ শনাক্তের হার ছিল ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং ৩০ জানুয়ারি সর্বনিম্ন ছিল ৩ শতাংশ। গত ৩১ জানুয়ারি সর্বোচ্চ সুস্থতার হার ছিল ৮৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং ১ জানুয়ারি সর্বনিম্ন ছিল ৮৯ দশমিক ১৫ শতাংশ। ৩১ জানুয়ারি সর্বোচ্চ মৃত্যুর হার ছিল ১ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং ১ জানুয়ারি সর্বনিম্ন ছিল ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

এমইউ/এসজে/এমকেএইচ

Advertisement