দেশজুড়ে

২২ বছরের ইতিহাসে কচুয়া পৌরসভায় প্রথম নারী কাউন্সিলর প্রার্থী

চাঁদপুরের কচুয়া পৌরসভা নির্বাচনের তিন নম্বর ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর হিসেবে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন মাহারুন আল মিলি। ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এ পৌরসভার ইতিহাসে এর আগে কাউন্সিলর পদে কোনো নারী অংশ নেননি। তাই জনমনে তৈরি হয়েছে কৌতূহল ও উৎসাহ উদ্দীপনা।

Advertisement

মাহারুন আল মিলি বর্তমান ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুনের সহধর্মিণী। তিনি ৫ নম্বর পশ্চিম জয়দেবপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুল মান্নান পাটোয়ারীর মেয়ে। ১৭ বছর আগে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয় আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে। তাদের সংসারে তিন মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।

এর আগে মিলির শ্বশুর ইদ্রিস আলী ব্যাপারী তিনবার আট নম্বর কাদলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) ছিলেন এবং একবার কচুয়া পৌরসভার কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া মিলির দেবর বর্তমান পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালন করছেন।

আইনি জটিলতার কারণে এ বছর আব্দুল্লাহ আল মামুন নিজে নমিনেশন দাখিল না করে তার স্ত্রী মিলিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য অনুপ্রেরণা জোগান এবং এতে সহযোগিতা করেন পরিবার-পরিজনসহ অন্যান্য স্থানীয় জনগণ।

Advertisement

এরইমধ্যে নির্বাচনে জয়ের উদ্দেশ্যে ব্যাপক গণসংযোগ করে বেড়াচ্ছেন কাউন্সিলর প্রার্থী মিলি। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে দিচ্ছেন বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি।

এ বিষয়ে স্থানীয় কামাল হোসেন, কবির রুবেলসহ আরও কয়েকজন বলেন, আমরা প্রথম ভেবেছিলাম উনি নমিনেশন কিনেছেন কিন্তু জমা দেবেন না বা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেবেন। কিন্তু পরে দেখলাম উনি উনার সিদ্ধান্তে অনড়। এজন্য উনাকে সাধুবাদ জানাই। এখন দেখার অপেক্ষা নির্বাচনের ফলাফল কী হয়।

মিলির স্বামী বর্তমান কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমি গত পাঁচ বছর কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করছি। জানামতে আমার এই সময়ে আমি কারও কোনো ক্ষতি করিনি। যতটুকু পেরেছি জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি। তাই আমার বিশ্বাস জনগণ এবার আমার স্ত্রী মিলিকে তাদের সেবা করার দায়িত্ব দেবেন।

এ বিষয়ে মাহারুন আল মিলি বলেন, আমি নারী উন্নয়নে কাজ করতে চাই। জননেত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে জনগণের সেবা করে ঠিক তেমনি আমিও একজন নারী হয়ে ওয়ার্ডের সবার সেবা করতে চাই। তিনি আরও বলেন, যদি নির্বাচন সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয় তাহলে এ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার জন্য আমি শতভাগ আশাবাদী। এলাকার ভোটাররা সবাই আমার পাশে আছে বলে আমি বিশ্বাস করি।

Advertisement

নজরুল ইসলাম আতিক/এসজে/জিকেএস