দেশজুড়ে

মোংলায় প্রতি টন পানি ১০ ডলার

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের আয়ের অন্যতম উৎস বিশুদ্ধ পানি। বন্দরে আগত দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পাশাপাশি বন্দর সংলগ্ন বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানেও এসব পানি বিক্রি করা হয়। প্রতি টন পানির দাম ১০ ডলার (প্রায় ৮৪৭ টাকা)।

Advertisement

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি থাইল্যান্ড পতাকাবাহী জাহাজে ‘সেনা-৭থ’ ১৫০ টন এবং ২৩ জানুয়ারি পানামা পতাকাবাহী জাহাজে ‘বি এলপিজি সোফিয়াথ’ ৭০ টন পানি সরবরাহ করা। এ দুটি জাহাজে পানি সরবরাহ করে বন্দর কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশি টাকায় আয় করে দুই লাখ ১৫ হাজার ৫০ টাকা।

মোংলা বন্দরের নিজস্ব পানির জলযান ‘এমভি তৃষ্ণাথ’ এবং ‘এস ভি রুহিথ’ বন্দরে আগত বাণিজ্যিক জাহাজে পানি সরবরাহ করে থাকে। বাগেরহাটের ফয়লায় অবস্থিত বন্দরের নিজস্ব পানির প্ল্যান্ট থেকে এসব পানি আনা হয়।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার বিভাগের শিপ মুভমেন্ট মো. মোহাম্মদুল্লা বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে আগত ১৪৮টি বাণিজ্যিক জাহাজে ২০ হাজার ৩৭৮ টন পানি সরবরাহ করা হয়। আর এ থেকে বন্দর আয় করে এক কোটি ৯৯ লাখ ১৯ হাজার ৪৯৫ টাকা।

Advertisement

বন্দরের অর্থ বিভাগের মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে বন্দরে আগত বাণিজ্যিক জাহাজ ও বন্দর সংলগ্ন বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে দুই কোটি ৭১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৮৩ টাকার পানি বিক্রি করা হয়েছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন বলেন, বন্দর সৃষ্টির পরই জাহাজের পানির চাহিদা বুঝে মোংলা বন্দরে পানির প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়।

তিনি আরও বলেন, বন্দরে আগত যেসব জাহাজে পানির চাহিদার প্রয়োজন হবে সে ক্ষেত্রে ওইসব জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানাবে। পরবর্তীতে ওই পরিমাণ পানির অনুকূলে ব্যাংকে টাকা জমা দেয়ার পরই সরবরাহ করা হয়। এভাবে প্রতি বছরই বন্দরে আগত জাহাজগুলোতে পানির চাহিদা মেটানো হয়।

মো. এরশাদ হোসেন রনি/এসজে/এমকেএইচ

Advertisement