শিশুর ডায়াপার ব্যবহারের যেমন সুবিধা রয়েছে; তেমনিই আবার অসুবিধাও রয়েছে। দীর্ঘক্ষণ ডায়াপার ব্যবহারের কারণে শিশুর ত্বকে ফুসকুড়ি বের হতে পারে।
Advertisement
কারণ শিশুর ত্বক অনেক কোমল ও নমনীয় হয়ে থাকে। বেশি সময় ধরে যদি প্রস্রাবে ভেজা ডায়াপার পরানো থাকে শিশুর, সেক্ষেত্রে র্যাশ মারাত্মক আকার ধারণ করে।
এজন্য শিশুকে ডায়াপার পরালে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, কতক্ষণ পর তা বদলাবেন। সামান্য অসতর্কতার কারণেই শিশুর পশ্চাৎদেশসহ কুঁচকিতে র্যাশ বের হতে পারে।
শিশুর ডায়পার র্যাশের সমস্যা দেখা দেয়, যৌনাঞ্চলে, পশ্চাৎদেশে এবং ডায়পার পরিহিত জায়গায় র্যাশ, লালচে ভাব, জ্বালা এবং ব্যথা হয়। এতে শিশুরা অনেক যন্ত্রণা ভোগ করে তাকে। চলুন তবে জেনে নিন, এমনটি হলে কী করবেন-
Advertisement
>> পেট্রোলিয়াম জেলির ব্যবহার ডায়পার জনিত ফুসকুড়ি থেকে শিশুকে বাঁচাতে পারে। এজন্য শিশুর ডায়পার খুলে হালকা গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করে তারপর পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করুন।
>> দিনের কিছুটা সময় শিশুকে ডায়পার ছাড়া রাখাই সবচেয়ে ভালো। এতে বায়ু চলাচলের কারণে আরও দ্রুত ফুসকুড়ি নিরাময় হবে।
>> যদি আপনার শিশুর ডায়পার জনিত ফুসকুড়ি হয়ে থাকে তবে তাকে খুব টাইট, রবার বা সিন্থেটিক জাতীয় কিছু পরানো এড়িয়ে চলুন। বরং ঢিলেঢালা সুতির কাপড় পরান।
>> আক্রান্ত স্থানে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন। এতে শিশুর ডায়াপার র্যাশের সমস্যা কমে যাবে।
Advertisement
>> শিশুর ওয়াইপস কেনার সময় খেয়াল রাখুন যাতে কোনো সুগন্ধ বা অ্যালকোহল না থাকে।
>> ডায়পার জনিত ফুসকুড়ি এবং জ্বালা হলে সেক্ষেত্রে টক দই ব্যবহার করা যেতে পারে।
>> নারকেল তেল দুর্দান্ত ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। শিশুর আক্রান্ত স্থানে নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন।
>> গোসলের পানিতে ভিনেগার মিশিয়ে শিশুর পশ্চাৎদেশসহ নিম্নাঙ্গের অংশটুকু পরিষ্কার করে নিন।
বোল্ডস্কাই/জেএমএস/জিকেএস