দক্ষিণ কোরিয়ায় রাজধানী সিউলের বাইরে পাঁচ লাখের বেশি রেস্টুরেন্ট এবং অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। শনিবার থেকে নতুন এই নির্দেশনা কার্যকর হয়েছে। আগে যে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল তার বাইরে এখন বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আরও এক ঘণ্টা বেশি চালু রাখার সুযোগ পাচ্ছে। করোনা প্রতিরোধে আরোপ করা কঠোর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জনগণের তীব্র প্রতিক্রিয়ার কারণেই কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খবর রয়টার্সের।
Advertisement
কঠোর লকডাউন আরোপ না করে বেশি মাত্রায় টেস্টিং এবং ট্রেসিংয়ের মাধ্যমে প্রথমদিকে করোনার লাগাম টানার চেষ্টা করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। মহামারির সর্বশেষ ঢেউয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে নতুন করে সামাজিক দূরত্বের কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে কর্তৃপক্ষ।
প্রধানমন্ত্রী চুং সি কিুন শনিবার একটি এক বিবৃতিতে বলেন, ছোট ব্যবসায়ী এবং উদ্যোক্তাদের কথা মাথায় রেখে কঠোর বিধি-নিষেধ কিছুটা শিথিল করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী চুং সি কুন জানিয়েছেন, এখন থেকে রাজধানীর বাইরে থাকা ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। কিন্তু সিউলের ভেতরে থাকা ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান রাত ৯টার মধ্যেই বন্ধ করে দিতে হবে। কারণ দক্ষিণ কোরিয়ার মোট সংক্রমণের ৭০ ভাগের বেশিই রাজধানীতে সিউলে। সেখানে থেকে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সে কারণেই রাজধানী থেকে এখনই কোনো বিধি-নিষেধ শিথিল করা হচ্ছে না।
Advertisement
উপ-স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্যাং দো তাই এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রায় ৫ লাখ ৮০ হাজার ক্যাফে, রেস্টুরেন্ট, ফিটনেস সেন্টার, বারের ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়েছে। যেসব ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে চলবে না তাদের কার্যক্রম দু'সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
নতুন করে শনাক্ত হওয়া বেশিরভাগ সংক্রমণই সিউল, প্রতিবেশী বন্দর নগরী ইনশেওন এবং জিওনগি প্রদেশে। এসব শহরে প্রায় আড়াই কোটি মানুষের বসবাস। কড়াকড়ি আরোপের কারণে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেস্টুরেন্ট এবং ক্যাফের মালিকরা।
আগামী ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত সামাজিক দূরত্বের নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হয়েছে। ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় লুনার নিউ ইয়ারের ছুটি শুরু। এই উৎসবের সময় লাখ লাখ কোরিয়ার নাগরিক দেশের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করে এবং পরিবারের সঙ্গে একত্রিত হয়। এই উৎসবের দিনগুলোতে লোকজনকে বাড়িতেই সময় কাটানোর আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।
কোরিয়া ডিজেজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেন্সন এজেন্সি জানিয়েছে, দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৩৯৩ জন। এখন পর্যন্ত দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৫২৪। এর মধ্যে মারা গেছে ১ হাজার ৪৬৪ জন।
Advertisement
টিটিএন/এমএস