কাতারে নতুন করে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর ফলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ।
Advertisement
৩২টি বিধি-নিষেধের একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। বুধবার এ বিষয়ে জনগণকে সচেতন করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ৮০ শতাংশ কর্মীর উপস্থিতির বিধান রাখা হয়েছে।
অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে কাতারে আবারও বিয়ের অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম থাকবে। আগের সব মাসের তুলনায় চলতি মাসে কাতারে সংক্রমণ অনেক বেড়ে গেছে। এমনকি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যাও ৮৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে নতুন করে কড়াকড়ি আরোপ করতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ন্যাশনাল হেলথ স্ট্র্যাটেজিক গ্রুপ এবং হামাদ মেডিকেল করপোরেশনের ইনফেকসাস ডিজেজের প্রধান ডা. আবদুল্লাতিফ আল খাল বলেন, গত ডিসেম্বরের তুলনায় জানুয়ারিতে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৮৫ শতাংশ বাড়তে দেখেছি আমরা।
Advertisement
গত ডিসেম্বর থেকেই কাতারে সংক্রমণ ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে। কিন্তু আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে চলতি মাসে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকার পাশাপাশি আইসিইউতেও রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
ডা. আবদুল্লাতিফ আল খাল বলেন, আগামী দিনগুলোতে পাওয়া তথ্য থেকে আমরা আরও অনেক কিছুই জানতে পারব। তবে কাতারে যেভাবে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে এটাকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সম্ভাব্য লক্ষণ হিসাবেই দেখা যায়।
বুধবার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন করে ৩৯৬ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৫২ হাজার ৪৯১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছে ২৪৯ জন। তবে ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩০২ জন। বর্তমানে সেখানে করোনার অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৫ হাজার ৯৪০।
টিটিএন/এমএস
Advertisement