ট্রেনে যাতায়াতের মাধ্যমেই পরিচয়, তারপর সখ্যতা। সখ্যতা থেকেই সহযোগিতার কথা বলে রেলওয়েতে চাকরির প্রস্তুতির বই দেয়ার নামে নিজ বাসায় ডেকে ধর্ষণ করেন রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশনমাস্টার মঈন উদ্দিন আজাদ।
Advertisement
এনিয়ে ১৯ জানুয়ারি বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি মামলাও করেন ওই গৃহবধূ। দায়েরকৃত মামলার প্রেক্ষিতে মঈন উদ্দিন আজাদকে বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে নাটোরের নলডাঙ্গার মাধনগর স্টেশন থেকে গ্রেফতার করেছে বোয়ালিয়া মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ও তার সঙ্গীর ফোর্স।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিবারণ চন্দ্র বর্মণ।
তিনি জানান, নগরীর শিরোইল কলোনির এক গৃহবধূর অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত মঈন উদ্দিন আজাদকে (৪২) গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল গ্রেফতার করেছে। তিনি রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশনমাস্টার পদে কর্মরত। মামলার পর থেকে তিনি লাপাত্তা ছিলেন। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে বুধবার রাতে পুলিশ নাটোরের মাধনগর স্টেশন থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
Advertisement
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ট্রেনে যাতায়াতের পথেই স্টেশন মাস্টার আজাদের সঙ্গে ওই নারীর পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে ফেসবুক মেসেঞ্জারে কথা হত। আজাদ ওই নারীকে রেলওয়েতে একটি চাকরিও দিতে চেয়েছিলেন। এজন্য ঘুষ হিসেবে ওই নারীকে আট লাখ টাকা লাগবে বলে জানান। তিনি আগাম দুই লাখ টাকাও নিয়েছিলেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রেলের চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক বই দেয়ার নামে ১৭ জানুয়ারি ওই নারীকে বাসায় ডাকেন তিনি। ওই নারী সরল বিশ্বাসে তার বাসায় গেলে দেখেন সেখানে কেউ নেই। ফাঁকা বাসায় মঈন উদ্দিন আজাদ তাকে ধর্ষণ করেন।
এজাহারে আরও উল্লেখ রয়েছে, ধর্ষণের পর রেল কর্মকর্তা ঘটনাটি কাউকে জানালে বড় ধরনের ক্ষতির হুমকিও দেন।
এ বিষয়ে নগর পুলিশের মুখপাত্র গোলার রুহুল কুদ্দুস জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সংবাদ পেয়ে স্টেশনমাস্টার মঈন উদ্দিন আজাদের অবস্থান জেনে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাতে নাটোর থেকে বোয়ালিয়া মডেল থানায় নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।
Advertisement
এফএ/এমএস