বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১০ কোটি ৪৯ লাখ ১ হাজার ৭০৪ জন। এতে মৃত্যু হয়েছে ২২ লাখ ৭৮ হাজার ৪৪০ জনের আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭ কোটি ৬৬ লাখ ২৯ হাজার ৪৩৪ জন।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে আটটায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। তাদের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনা মহামারিতে এ পর্যন্ত বিশ্বের ২২১টি দেশ ও অঞ্চল আক্রান্ত হয়েছে।
বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে করোনায় সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ২ কোটি ৭১ লাখ ৫০ হাজার ৪৫৭ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৪ লাখ ৬১ হাজার ৯৩০ জন আর সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৬৯ লাখ ৬ হাজার ৭৭৮ জন।
ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। দেশটিতে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ১ কোটি ৭ লাখ ৯১ হাজার ১২৩ জনের শরীরে। এর মধ্যে মারা গেছেন ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭৪২ জন আর সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৫০৮ জন।
Advertisement
করোনা সংক্রমণের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে আছে ব্রাজিল। দেশটিতে করোনায় সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪২০ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ২ লাখ ২৭ হাজার ৫৬৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৮২ লাখ ৩৬ হাজার ৮৬৪ জন।
তালিকায় রাশিয়ার অবস্থান চতুর্থ, যুক্তরাজ্য পঞ্চম, ফ্রান্স ষষ্ঠ, স্পেন সপ্তম, ইতালি অষ্টম, তুরস্ক নবম ও জার্মানি রয়েছে দশম অবস্থানে। তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৩১তম। এছাড়া ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনের অবস্থান তালিকায় ৮৩তম স্থানে। আর দেশটিতে বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯ হাজার ৬৪৯ জন। এর মধ্যে ৪ হাজার ৬৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। সেখানে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় গত বছরের ৯ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে ধীরে ধীরে সারা বিশ্বে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে।
করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গত ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে। এরপর গত ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
Advertisement
এমআরআর/এমএস