একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) চূড়ান্ত রায়ে মুজাহিদ ও সাকার ফাঁসির রায় বহাল থাকায় উল্লাস ও আনন্দ মিছিল করেছে মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক বিভিন্ন সংগঠন ও সংগঠক। পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) চূড়ান্ত রায় শোনার জন্য আদালতের ট্রাইব্যুনাল গেইটের সামনে অবস্থান নেয় বিভিন্ন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সংগঠন। বুধবার সাড়ে ১১টার পর পরেই রায় ঘোষণা হলে উল্লাস শুরু করেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন লীগ, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ(কেন্দ্রীয় কমান্ড) বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক নূর হোসেন শ্লোগান দিয়ে বলেন, ‘এই মুহূর্তে খবর এলো মুজাহিদ-সাকার ফাঁসি হলো।’ তিনি বলেন, স্বাধীনতার এতো দিন পরে হলেও একাত্তরে যারা এদেশের স্বাধীনতার বিরোধীতা করে যারা পাকিস্তানী হায়েনাদের সঙ্গে মিলিত হয়েছিল তাদের দুই বড় যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি হয়েছে। আমরা অত্যন্ত ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এই সরকারের প্রতি, শেখ হাসিনার প্রতি। তিনি তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছেন। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মহাসচিব(প্রশাসন) এমদাদ হোসেন মতিন বলেন, একাত্তরে যারা আমাদের মা-বোনের সম্ভ্রব পাকিস্তানী সেনাদের হাতে তুলে দিয়ে উল্লাস করেছিল আজ তাদের আমরা উল্লাস করছি তাদের ফাঁসির রায়ে। সাংগঠনিক সম্পাদক এবিএম সুলতান আহমেদ বলেন, আর দেরি নয়, রায় বহাল রেখেছে আদালত। আমরা এবার রায় কার্যকর দেখতে চাই। অপর নেতা ইসমত কাদির গামা বলেন, সরকার সব ধরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এতো দিন পরে হলেও আর দুই যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির রায় ঘোষণা করেছে। একাত্তরের কলঙ্ক আমরা আর দেখতে চাই না। অতি দ্রত রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে আমরা কালিমা মুক্ত হতে চাই বাঙ্গালীরা। পরে তারা শ্লোগান দিয়ে ট্রাইব্যুনাল চত্বর ছেড়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেন।জেইউ/জেডএইচ/এমএস
Advertisement