করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ ও দুজন নারী। ১৩ জনের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ জন ও বাসায় দুজন মারা যান। এ নিয়ে দেশে এই মহামারিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল আট হাজার ১৬২ জনে।
Advertisement
গত ২৪ ঘণ্টায় ২০৬টি ল্যাবরেটরিতে ১৫ হাজার ১৪৭টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৪ হাজার ৯৮৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৩৬ লাখ ৯৩ হাজার ৬৩৪টি। এই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ৪৩৮ জন। দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা পাঁচ লাখ ৩৬ হাজার ৫৪৫ জন।
এদিকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৭৮ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৮১ হাজার ৩০৬ জন।
বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
Advertisement
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তে হার দুই দশমিক ৯২ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৫৩ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক শূন্য ৭০ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫২ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত ও ১৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট মৃত্যু আট হাজার ১৬২ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ছয় হাজার ১৮৮ (৭৫ দশমিক ৮১ শতাংশ) ও নারী এক হাজার ৯৭৪ জন (২৪ দশমিক শূন্য ১৯ শতাংশ)।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৩ জনের মধ্যে দশোর্ধ্ব একজন, চল্লিাশোর্ধ্ব দুজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব তিনজন এবং ষাটোর্ধ্ব সাতজন।
বিভাগওয়ারী হিসেবে মৃত ১৩ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে আটজন, চট্টগ্রামে দুজন, রাজশাহীতে একজন ও খুলনায় দুজন মারা যান।
Advertisement
এমইউ/বিএ/জিকেএস