বিশেষ প্রতিবেদন

হিমালয়ের বরফ ছুঁয়ে আসছে উত্তরের হিমেল হাওয়া

হিমালয়ের বরফ ছুঁয়ে আসা উত্তরের হিমেল হাওয়া ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কড়া নেড়েছে। তাপমাত্রা কমে গিয়ে তার আগমনের জানান দিচ্ছে রাজধানীবাসীকেও। গ্রামাঞ্চলে সন্ধ্যার পর শীতের উপস্থিতি অনুভব করা গেলেও শহুরে জীবনে তার প্রকোপ এখনো সেভাবে লক্ষ্য করা যায়নি। বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থিতি সম্পর্কে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মো: শাহ আলম জাগো নিউজকে বলেন, উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় ঘন কুয়াশা দেখা গেলেও আবহাওয়া এখনো স্বাভাবিক রয়েছে। তিনি বলেন, সাগরের সুস্পষ্ট লঘু চাপটি ভারতের দিকে চলে গেছে তাই আরো এক সপ্তাহ পর বুঝা যাবে এবছর শীতের মাত্রাটা কেমন হবে। যদিও নভেম্বর মাসে শীত খুব একটা পড়ে না তবে মাত্রাটা এবার স্বাভাবিক থাকবে।রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সকাল ও সন্ধ্যায় এখনো কুয়াশা পড়েনি। তবে কিছু কিছু এলাকায় হালকা কুয়াশার আমেজ লক্ষ্য করা গেছে। এদিকে এখনো শীতের কাপড় পরে সড়কে বের হচ্ছেন না রাজধানীবাসী। ইতোমধেই শীতের আগমনী বার্তা পেয়ে মোটা কাপড়ের পোশাক বিক্রি শুরু হয়েছে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার সলিমুল্লাহ হলের শিক্ষার্থী তৌহিদ বলেন, সন্ধ্যার পর ক্যাম্পাসে হাঁটলে মনে হয় শীত ধেয়ে আসছে। ক্রমেই তাপমাত্রা ঠাণ্ডা হয়ে আসছে। ক্যাম্পাসে গাছপালা বেশি থাকায় শীতটা একটু বেশি অনুভব করা যায়। তিনি বলেন, রাতে শীতের কাঁথা বা কম্বল প্রয়াজন না হলেও সকালে ঠাণ্ডা অনুভব হয়। তাই সকালে সিঙ্গেল কম্বল গায়ে মুড়িয়ে ঘুমান তিনি।রাজধানীতে শীত কেমন অনুভব করছেন জানতে চাইলে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া চৌধুরী জানান, বর্তমান যে আবহাওয়া বিরাজ করছে তাতে খুবই স্বাচ্ছন্দ অনুভব করি। তেমন গরমও পড়ছে না আবার শীতও লাগছে না। মিরপুরের বাসিন্দা ব্যাংকার হারুন অর রশিদ বলেন, সকালের দিকে কিছুটা ঠান্ডা অনুভব করি। তবে দিনে সেভাবে শীত অনুভব হচ্ছে না। এদিকে শীতের নানান পিঠা নিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকায় পসরাও সাজিয়ে বসছেন দোকানীরা। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা শহরের রাস্তায় বিক্রি যেন শীতের আগমনেরই জানান দিচ্ছে। শহরের বিভিন্ন অলি-গলিতে সেরকম চিত্র গত দুই সপ্তাহ ধরেই লক্ষ্য করা গেছে। নিউমার্কেট, বঙ্গবাজার, ফার্মগেট এলাকায় দেখা গেছে, শহুরে জীবনে শীত ধেয়ে না আসলেও গরম পোশাক বিক্রি শুরু হয়েছে। শীতকে প্রতিহত করতে নানা ধরনের গরম পোশাক নিয়ে হাজির হয়েছেন ব্যবসায়ীরা।এসব দোকানে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা না গেলেও অনেককে শীতের পোশাক কিনতে দেখা গেছে। কম্বলের দোকানেও সমান তালেই চলছে বেচা-কেনা। সন্ধ্যার পর পিঠার দোকানগুলোতেও ভিড় যেন ক্রমেই বাড়ছে।এমএম/এসকেডি/এসএইচএস/এআরএস/এমএস

Advertisement