তানভীর হাসান। মাইডাস ফাইন্যান্সিং লিমিটেডের জিএম-ফাইনান্স, অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ট্রেজারি এবং কোম্পানি সেক্রেটারি। দীর্ঘ সময়ের ক্যারিয়ারে কাজ করেছেন নানাভাবে। ছোটবেলার ডানপিটে ছেলেটি এখন পুরোদস্তুর কর্পোরেট। ধীরে ধীরেই এগিয়ে গেছেন সফলতার দিকে।
Advertisement
সম্প্রতি নিজের ক্যারিয়ার ও সফলতা নিয়ে কথা বলেছেন জাগো নিউজের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বেনজির আবরার-
আপনার ক্যারিয়ারের গল্প যদি বলতেন-তানভীর হাসান: ক্যারিয়ার শুরু করেছিলাম আজিজ হালিম খায়ের চৌধুরী চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট ফার্মে অডিট ম্যানেজার হিসেবে। এরপর স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডে প্রায় বছর দুয়েক কাজ করি। তারপর ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডে হেড অব আইসিসি হিসেবে প্রায় আট বছর কাজ করেছি। পরবর্তীতে সিভিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডে চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার এবং কোম্পানি সেক্রেটারি হিসেবে সাড়ে তিন বছর কাজ করলাম। বর্তমানে মাইডাস ফাইন্যান্সিং লিমিটেডে কাজ করছি।
ছোটবেলায় কেমন ছিলেন? পরিবারে কে কে রয়েছেন?তানভীর হাসান: প্রচণ্ড রকমের দুষ্টু ছিলাম। স্কাউটিং করতাম, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের সদস্য ছিলাম। প্রচুর বই পড়ার নেশা ছিল। যা এখনো আছে। তিন গোয়েন্দা, ক্ল্যাসিক, সেবা রোমান্টিক, হুমায়ূন, শীর্ষেন্দু, সমরেশ সব রকমের বই এখনো রিপিট করে পড়ি। বাবা এবং মা আইনজীবী ছিলেন। ১৯৯৭ সালে বাবা মারা যান। মাও মারা গেলেন ২০০৭ সালে। তিন ভাই-বোন আমরা। বড় বোন চিকিৎসক, মেজ বোন এম.ফিল করেছেন। সবার ছোট একমাত্র ভাই আমি। বর্তমানে স্ত্রী, এক কন্যা আর এক ছেলে নিয়ে আমার পরিবার।
Advertisement
জীবনের টার্নিং পয়েন্ট মনে হয়েছে কোন জায়গাকে?তানভীর হাসান: আমার লাইফে অনেকগুলো টার্নিং পয়েন্ট আছে আমি মনে করি। স্কয়ার ফার্মার মত বড় কোম্পানিতে কাজ করাটা তার মধ্যে অন্যতম। সিএ পাস করাটা জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে। একটি নতুন কোম্পানির সিএফও ও কোম্পানি সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করে যাওয়াটা অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। বর্তমানের কর্মস্থলে এত বিখ্যাতদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বোর্ডের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ আমার কাছে আরেকটি টার্নিং পয়েন্ট বলে মনে হয়।
ফ্যাইনান্স পেশাজীবীদের জন্য করোনা কী কী বার্তা দিয়ে গেল? তানভীর হাসান: কোভিড-১৯ ফাইন্যান্স পেশাজীবীদের টিপিক্যাল ফাইন্যান্সিংয়ের ধ্যান-ধারণা থেকে বের হয়ে মানবিক হওয়ার সুযোগ করে দিলো। কত টাকা প্রফিট হলো, রিটার্ন অন ইক্যুইটি কী হলো- এর বাইরেও যে ফাইন্যান্স পেশাজীবীদের কিছু করার আছে, সেটা জানা গেল। কোম্পানির খরচ বাঁচাতে গিয়ে যেন কোনো কর্মীর যেন চাকরিচ্যুত হতে না হয়, এটাও ফাইন্যান্স অফিসারদের দেখতে হবে।
তরুণদের জন্য আপনার পরামর্শ কী? তানভীর হাসান: পরামর্শ দেওয়ার মত যোগ্য এখনো নিজেকে করে তুলতে পারিনি। অনেক কিছু শেখার আছে। একটি কথা বলতে পারি, জীবনে সফল হতে তাড়াহুড়ো করার কোনো প্রয়োজন নেই। আল্লাহ প্রত্যেক মানুষের রিজিকের ব্যবস্থা করে রেখেছেন। সততা, একাগ্রতা, নিষ্ঠা, সময়ানুবর্তিতার বড় অভাব আজকাল। তরুণরা অনেক মেধাবী আর চিন্তা-ভাবনায় অনেক এগিয়ে আমাদের তুলনায়। তরুণরা যেন সৎভাবে আর ন্যায়-নীতি মেনে সমাজ পরিবর্তনে এগিয়ে আসে, এমনটাই প্রত্যাশা করি প্রচণ্ডভাবে।
এসইউ/এএসএম
Advertisement