জাতীয়

মেডিকেলে নতুন করে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ ‘কোয়াইট ইম্পোসিবল’

মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে নতুন করে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা ‘কোয়াইট ইম্পোসিবল’ বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা, শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. আবদুর রশিদ। তিনি বলেন, সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া প্রায় শেষ। ইতিমধ্যে প্রায় ১১ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি হয়ে গেছে। সরকারি মেডিকেল কলেজে দ্বিতীয় দফায় মাইগ্রেশন চলছে। এ অবস্থায় পুনরায় ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করার চিন্তা করা একেবারেই অসম্ভব। মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ২০১৫-১৬ সেশনের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে মর্মে গণতদন্ত কমিশনের মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিবেদন সম্পর্কে আজ সকালে তার দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তার ব্যক্তিগত প্রতিক্রিয়ায় এ সব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, বিভিন্ন  ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় এ সংক্রান্ত খবরটি দেখেছেন। এ নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কিংবা স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের সাথে কোন প্রকার কথা হয়নি। আবদুর রশিদ বলেন, আমি যা বলছি তা আমার একান্তই ব্যক্তিগত মতামত। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। অফিসিয়ালি তিনি এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। উল্লেখ্য, তিনি গত ১৩ অক্টোবর নতুন পরিচালক হিসেবে অধিদফতরে যোগদান করেছেন। চলতি বছরের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের সার্বিক প্রক্রিয়ার সাথে তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন না।জানা গেছে, গণতদন্ত কমিশনের তদন্ত প্রতিবেদনে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা প্রমানিত হওয়ায় খুশীতে আজ সকালে টিএসসি থেকে বিজয় মিছিল বের করবে আন্দোলনকারি শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও তারা আজ সংবাদ সম্মেলন করে গণমাধ্যমের কাছে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করবেন। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি’র শিক্ষক লাউঞ্জে গণতদন্ত কমিটির প্রকাশিত প্রতিবেদনে নতুনভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। গণতদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, সকল তথ্য-প্রমাণ সাক্ষ্য ও পরিস্থিতি নানা দিক বিবেচনায় মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ ২০১৫-১৬ সেশনের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। নতুনভাবে মেডিকেল পরীক্ষা নেওয়ার সুপারিশ করছি।’কমিটি জানায়, ৫ নভেম্বর পর্যন্ত যেকোনো দিন যেকোনো জায়গায় সরকারের স্বাস্থ্য অধিদফতর ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বসার ইচ্ছা প্রকাশ করে যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর চিঠি দিয়েছিল তারা। কিন্তু কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন এখন এসব জায়গায় পৌঁছানো হবে বলে জানানো হয়।গত ১৯ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি’র শিক্ষক লাউঞ্জে সমাজের বিভিন্ন স্তরের নাগরিকদের সমন্বয়ে মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস বিষয়ক গণতদন্ত কমিটি গঠিত হয়।কমিটির সদস্য ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আহমেদ কামাল, মোশাহিদা সুলতানা ও সামিনা লুৎফা, চিকিৎসক ফজলুল হক ও শাকিল আক্তার, প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক, সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, শিক্ষাবিদ এ এন রাশেদা, ব্যারিস্টার সারা হোসেন, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ফিদা হক, শিল্পী মাহমুদুজ্জামান বাবু এবং লেখক-সম্পাদক রাখাল রাহা।এআরএস/এমএস

Advertisement