ভারতের হিমাচল প্রদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয় অন্তত ৩৬ হাজার ভুয়া সনদ বিক্রি করেছে বলে প্রমাণ পেয়েছে বিশেষ তদন্তকারী দল। এ অপকর্মে জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান ও তার পরিবারের কয়েকশ’ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
Advertisement
জানা যায়, হিমাচলের সোলান শহরের মানব ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটেছে এমন নজিরবিহীন ঘটনা। গত ১১ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রায় ৪১ হাজার সনদ ইস্যু করেছে। এর মধ্যে মাত্র হাজার পাঁচেক আসল প্রমাণিত হয়েছে। অর্থাৎ, বাকি ৩৬ হাজারই ভুয়া।
পুলিশ জানিয়েছে, মানব ভারতী ট্রাস্টের অধীনে পরিচালিত হতো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টি। হিমাচল ছাড়া রাজস্থানেও তাদের একটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
এর চেয়ারম্যান রাজ কুমার রানা, তার স্ত্রী অশোনী কান্বার, মেয়ে আইনা রানা (দু’জনেই ট্রাস্টি) এবং ছেলে বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া রয়েছেন। তাদের ভারতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে পুলিশ।
Advertisement
হিমাচল পুলিশের মহাপরিচালক সঞ্জয় কুন্ডু গণমাধ্যমকে বলেছেন, এ রাজ্যে এটাই প্রথম মানিলন্ডারিংয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জড়িত থাকার ঘটনা। তিনি জানিয়েছেন, ভুয়া সার্টিফিকেট বিক্রি করে রানা ও তার পরিবার অন্তত ৩৮৭ কোটি রুপি আয় করেছে।
ভারতীয় আইনপ্রয়োগকারী অধিদফতর জানিয়েছে, জমি, বাড়ি, বাণিজ্যিক ভবন এবং প্রায় ২০০ কোটি রুপির এফডিআরসহ রানা পরিবারের কয়েকশ’ কোটি রুপির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
২০০৯ সালের দিকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সোলানের মানব ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। তখন থেকেই ভুয়া সার্টিফিকেটের ব্যবসা শুরু করেন হরিয়ানার বাসিন্দা রাজ কুমার রানা। একই ভরসায় ২০১৩ সালে রাজস্থানে চালু করেন মাধব বিশ্ববিদ্যালয়।
পুলিশ জানিয়েছে, মানব ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুয়া সার্টিফিকেট কেলেঙ্কারির ঘটনায় ধরমপুর থানায় ইতোমধ্যে অন্তত তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Advertisement
কেএএ/জেআইএম