হোয়াইট কলার ক্রাইম আমাদের সমাজ ও দেশকে পিছিয়ে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরপিএমপি) কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল আলীম মাহমুদ।
Advertisement
তিনি বলেছেন, এই অপরাধ বেশির ভাগ মানুষের চোখে অপরাধ নয়। কিন্তু পেশাকে ব্যবহার করে হোয়াইট কলার অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। কিন্তু তা মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছে, নজরে আসছে না।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রংপুর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ‘অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ এবং মিডিয়ার ভূমিকা’- শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরপিএমপি) ও রংপুর প্রেস ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে এই আয়োজন করা হয়।
পুলিশ কমিশনার বলেন, যে সড়ক দিয়ে পাঁচ টনের ট্রাক চলাচলের কথা সেখানে পুলিশ, বিআরটিএ বা অন্য যারা রয়েছেন, তাদের সহযোগিতায় ১৫-২০ টনের গাড়িও চলে যাচ্ছে। এতে ওই সড়কটি ২০-৩০ বছর টেকসই হওয়ার কথা থাকলেও তা অল্প সময়ের মধ্যে ভেঙে যাচ্ছে। কিন্তু লাভবান হচ্ছে হোয়াইট ক্রাইমে জড়িত ব্যক্তিরা। এ ধরনের অপরাধও নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি। তা নাহলে কোথা থেকেও মানুষ কাঙ্খিত সেবা পাবে না।
Advertisement
অপরাধ নিয়ন্ত্রণে অপরাধের কারণ অনুসন্ধানে সাংবাদিকদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল আলীম মাহমুদ আরও বলেন, একেক দেশে অপরাধের ধরন একেক রকম। বাংলাদেশে যা অপরাধ, অন্য দেশে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য নাও হতে পারে। তাই প্রত্যেকটা অপরাধের পেছনের কারণ খুঁজে আনতে হবে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এটা বেশি জরুরি। এক্ষেত্রে সাংবাদিকদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন অনেক বেশি গুরুত্ব বহন করে।
মতবিনিময় সভায় রংপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি রশীদ বাবুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সরকার রফিকের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- আরপিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (সিটিএসবি) আবু বকর সিদ্দীক, উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মেনহাজুল আলম, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) ও পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি অ্যান্ড মিডিয়া) উত্তম প্রসাদ পাঠক, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) উজ্জ্বল কুমার রায়, রংপুর প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সদরুল আলম দুলু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুব রহমান প্রমুখ।
জিতু কবীর/এসএমএম/জেআইএম
Advertisement