সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, ‘নির্বাচনে ভোটার অংশগ্রহণ ২৪ শতাংশে নেমে এসেছে। ভোটে জনগণের অনীহা গণতন্ত্রের জন্য ভালো না। নির্বাচনে বিশ্বস্ততা ও গ্রহণযোগ্যতা না থাকলে শক্তিশালী গণতন্ত্র সম্ভব না। আমাদের আগামী ৫/১০ বছরের জন্য চিন্তা করলে হবে না। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিয়ে চিন্তা করতে হবে।’
Advertisement
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। উপজেলা ব্যবস্থা চালু থাকার জন্য এর সুফল গ্রামের মানুষ পাচ্ছে। আমরা স্বীকার করছি প্রধানমন্ত্রী কোভিডের মধ্যেও দেশ এগিয়ে নিয়ে গেছেন। সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। আশা করবো প্রণোদনা প্যাকেজের অর্থসমূহের মধ্যে যেগুলো ছাড়া হয়নি, তা যেন দ্রুত করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘আইনের শাসন সত্যিকার অর্থে প্রতিষ্ঠা করা না গেলে উন্নয়নের ধারা ধরে রাখা যাবে না। পাপুলের কুয়েতে সাজা হয়েছে। সেখানে টাকাগুলো কিভাবে গেল সেটা খুঁজে বের করতে হবে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর জোর দিতে হবে। এটি গণতন্ত্রের একটি স্তম্ভ। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে না পারলে তা দেশের জন্যও ভালো হবে না। গণতন্ত্রের জন্যও ভালো হবে না।’
Advertisement
ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘মুজিবর্ষে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের ওপর আঘাত হেনে বঙ্গবন্ধুকে হেয় করা হয়েছে। অপচেষ্টাকারীদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে কিনা জানি না। তাদের উস্কানী অব্যাহত রয়েছে। ফেসবুক-ইউটিউবে অহরহ প্রচারিত হচ্ছে। তথ্যমন্ত্রণালয় কী করে জানি না।’
তিনি বলেন, ‘সংসদে বঙ্গবন্ধুর যে ভাষণ শোনানো হলো, সেখানে ধর্ম নিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্রের অংশ বাদ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সংসদ বা সরকারের কোনো ব্যাখ্যা জানতে পারিনি। সংসদে কেন ত্রুটিপূর্ণ ভাষণ শোনানো হলো, স্পিকারকে অনুরোধ করবো এর ব্যাখ্যা দিতে।’
তিনি বলেন, ‘করোনার সময় পাট ও চিনি শিল্প ধ্বংস হয়ে গেছে। দুর্নীতি দমন আইন ও দুর্নীতি দমন কমিশন- দুটোই দুর্বল। অনেক ফাঁকফোকর রয়েছে। অর্থপাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছি না।’
এইচএস/এমএইচআর/এএসএম
Advertisement