মাগুরা সদর উপজেলার ছোটফালিয়া গ্রামের কৃষক জালাল উদ্দিন কুমড়া জাতীয় সবজি স্কোয়াশ চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন। মাত্র ২৩ শতক জমিতে এ সবজি চাষ করেছেন তিনি। ফলনও ভালো হয়েছে।
Advertisement
চলতি মৌসুমে এ ফসল বিক্রির মাধ্যমে তিনি প্রায় ১ লাখ টাকা ঘরে তুলতে পারবেন বলে আশা করছেন। এ সবজি দেখতে অনেকটা লম্বা বাঙ্গির মত ও সবুজ।
কৃষক জালাল উদ্দিন জানান, রাজবাড়ি জেলার পাংশা এলাকার ইটালি প্রবাসী মামুনুল হক নামে তার এক আত্মীয়ের কাছ থেকে এ বীজ সংগ্রহ করেছেন তিনি। এরপর গত বছর গ্রীষ্ম মৌসুমে মিষ্টি কুমড়া জাতীয় এ সবজির চাষ করেছিলেন। কিন্ত তেমন লাভবান হননি।
চলতি শীত মৌসুমে চাষ করে ফলন ভালো হয়েছে। এটির জীবনকাল প্রায় ৩ মাস। শীত মৌসুমে এ সবজি বপনের ৪০ দিনের মধ্যে ফল আসতে শুরু করে। পোকামাকড় থেকে রক্ষা পেতে খেতে ব্যবহার করেছেন ফেরোমন ট্রাফ। একরণে কীটনাশকের ব্যবহার তেমন প্রয়োজন হয় না।
Advertisement
এছাড়া মাটির রসে যাতে ফুল ও ফল নষ্ট না হয় সে জন্য জমিতে বেড তৈরি করে বেডের উপর পলিথিন দেয়া হয়েছে। সেচ ও বৃষ্টির অতিরিক্ত পানি জমে যাতে ফসলের ক্ষতি না হয় সে জন্য নালা তৈরি করা হয়েছে। এতে করে খেতে পানি জমে না। সেই সাথে ফসলের পরিচর্যা করতে সুবিধা হয়। ফলনও ভালো হয়।
জালাল উদ্দিন বলেন, ২৩ শতক জমিতে গাছ রয়েছে প্রায় ১ হাজার ২০০টি। এটি চাষে তার খরচ হয়েছে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। যাবতীয় খরচ বাদে এ খেত থেকে তিনি প্রায় লক্ষাধিক টাকার স্কোয়াশ বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।
ইতিমধ্যে বাজারে এ সবজি বিক্রি করতে শুরু করেছেন তিনি। বর্তমানে প্রতি পিস স্কোয়াশ ২০ থেকে ২৫ টাকা বিক্রি করছেন। এ সবজি চাষে স্থানীয় কৃষি বিভাগ তাকে নানাভাবে সহোযোগিতা করছে।
মাগুরা সদর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, স্কোয়াশ মূলত আমেরিকার বিভিন্ন অঞ্চলে চাষ হয়ে থাকে। আমাদের দেশে সাধারণত দো-আঁশ মাটিতে এর ফলন ভালো হয়। স্কোয়াশ ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’ ও আয়রনসহ বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরা একটি সবজি।
Advertisement
এ সবজি রাতকানা রোগসহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। মাগুরাতে কিছু কিছু এলাকায় কৃষকরা এটি চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন। যে কারণে অনেক কৃষকই এ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
মাগুরা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু তালহা জানান, চাষবাদের দিক দিয়ে স্কোয়াশ অনেকটাই নতুন ধরনের একটি সবজি। বাজারে এটির চাহিদা রয়েছে। ছোটফালিয়া গ্রামের জালাল উদ্দিন এ সবজির চাষ করে সফল হয়েছেন। আগামীতে এটির চাষ আরো বাড়বে বলে তিনি আশা করছেন।
এমএমএফ/এমকেএইচ