দেশজুড়ে

বরগুনার দুই পৌরসভার ৯ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত

বরগুনার সদ্য সমাপ্ত দুই পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এসব প্রার্থীদের মধ্যে ৯ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

Advertisement

শনিবার (৩০ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বরগুনায় ৯ জন ও পাথরঘাটায় ৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

নির্বাচন কমিশনের ৪৪ (৩) বিধিতে বলা হয়েছে, ভোটগ্রহণ বা ভোটগণনা সমাপ্ত হওয়ার পর যদি দেখা যায় যে, কোনো প্রার্থী সংশ্লিষ্ট নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগের চেয়ে কম ভোট পেয়েছেন, তাহলে ওই প্রার্থীর জামানতের টাকা সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে।

বরগুনা পৌরসভা নির্বাচনে মোট ১৭ হাজার ৯৩২ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এর ভেতর ১৯৪টি ভোট বাতিল হয়। এরপর নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ৯ হাজার ৩৬৭ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহদাত হোসেন ৬ হাজার ৬৩৬ ভোট পান।

Advertisement

এছাড়া বাকি ৭ প্রার্থী নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগের চেয়ে কম ভোট পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।

জামানত বাজেয়াপ্ত মেয়র প্রার্থীরা হলেন, বিএনপি সমর্থিত ধানের শীষ প্রতীকের অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবদুল হালিম ৮৯৪ ভোট, জাতীয় পার্টি সমর্থিত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আবদুল জলিল হাওলাদার ৫২টি ভোট, ইসলামী আন্দোলন সমর্থিত হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মাওলানা জালাল উদ্দিন ৭২১ ভোট, স্বতন্ত্র হেলমেট প্রতীকের মহসিনা মিতু ১৩টি ভোট, স্বতন্ত্র কেরামবোর্ড প্রতীকের প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান ৯টি ভোট, কম্পিউটার প্রতীকের প্রার্থী ৬টি ও মোবাইল প্রতীকের প্রার্থী শাহবুদ্দিন ৪০টি ভোট অর্জন করায় তাদের জামানতের টাকা সরকারের অনুকূলে চলে যাবে।

এদিকে পাথরঘাটা পৌরসভা নির্বাচনে মোট ১০ হাজার ৭৩৪ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এর ভেতর ৮৯টি ভোট বাতিল হয়।

পরে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. আনোয়ার হোসেন আকন ৬ হাজার ৬৭ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহবুবুর খান হোসেন ২ হাজার ২৩২ ভোট পেয়ে তার নিকটতম হন।

Advertisement

এছাড়া আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল (নারিকেল) ১ হাজার ৭২৩ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন। বাকি ২ প্রার্থী নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগের চেয়ে কম ভোট পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।

তারা হলেন- বিএনপি সমর্থিত ধানের শীষ প্রতীকের সাহাবউদ্দিন সাকু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহ আলম।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দীলিক কুমার হাওলাদার বলেন, বরগুনা পৌর সভায় ২৬ হাজার ১২ জনের মধ্যে ১৭ হাজার ৭৩২ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এ পৌরসভায় ৬৮ দশমিক ৯৪ ভাগ ভোট পড়েছে ও পাথরঘাটায় ১৪ হাজার ১৪৬ জন ভোটের ১০ হাজার ৭৩২ জন তাদের ভোট দেন। এখানে ৭৪ দশমিক ০০ ভাট ভোট পড়েছে।

এই দুই পৌরসভায় যারা মেয়র পদে প্রার্থী হয়ে মোট কাস্টিং ভোটের আট ভাগের একভাগ ভোট অর্জন করতে পারেননি নিয়ম অনুযায়ী তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

এফএ/এমকেএইচ