আন্তর্জাতিক

ফিলিস্তিনে ৫ হাজার ডোজ করোনা ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছে ইসরায়েল

ইসরায়েল বলেছে, ফিলিস্তিনের সামনের সারির স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য তারা করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের পাঁচ হাজার ডোজ পাঠাচ্ছে দেশটিতে। খবর বিবিসির।

Advertisement

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রমে বিশ্বে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা দেশ ইসরায়েল। ইসরায়েল অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ও গাজায় এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হয়নি।

সম্প্রতি জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বলেন, ফিলিস্তিনে ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য ইসরায়েলের একটি দায়িত্ব রয়েছে।

ইসরায়েল জানিয়েছে, চুক্তির আওতায় ফিলিস্তিনে ভ্যাকসিন দেয়ার কথা ছিল না এবং ফিলিস্তিনিদের কাছ থেকে ভ্যাকসিন পাওয়ার কোনো অনুরোধও তারা পায়নি।

Advertisement

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গ্যান্টজের কার্যালয় রোববার নিশ্চিত করেছে, দেশটি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে ভ্যাকসিন পাঠাবে। এ বিষয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্যমতে, ইসরায়েলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছয় লাখ ৪০ হাজারের বেশি এবং মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৭০০ জনের। অন্যদিকে পশ্চিম তীর ও গাজায় করোনা আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষ ও মারা গেছেন এক হাজার ৮৩৩ জন।

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর নিয়ন্ত্রণ করে দেশটির সরকার আর গাজা নিয়ন্ত্রণ করে সশস্ত্র ইসলামী গোষ্ঠী হামাস। দুটি অঞ্চলের কোনোটিই এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, ভ্যাকসিন সরবরাহের চুক্তির জন্য আলোচনা চলছে কিন্তু কবে সরবরাহ শুরু হবে তা পরিষ্কার নয়।

Advertisement

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভ্যাক্স প্রকল্পের আওতায় দরিদ্র দেশ ও জাতিগুলোকে ভ্যাকসিন দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমেও ভ্যাকসিন পাবে বলে আশা করছে ফিলিস্তিন। তবে সেক্ষেত্রেও সরবরাহের সময় অনিশ্চিত।

পশ্চিম তীরের জনসংখ্যা ২৭ লাখ ও গাজায় ১৮ লাখ। ফিলিস্তিনে রাশিয়ার কিছু ভ্যাকসিন এসে পৌঁছেছে; তবে কারা তা পাবে সেটি এখনো পরিষ্কার নয়।

এমকে/এমএস