বরিশালের উজিরপুরের কাজিসা গ্রামের দিনমজুর শামসুল হককে (৫৫) হত্যার অভিযোগে চারজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে প্রধান অভিযুক্ত মিঠুকে মৃধাকে বাদ দিয়ে এ হত্যা মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মিঠু উজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ইকবালের বড় ভাই দিলীপ মৃধার ছেলে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিহতের ছেলে আলামিন বাদী হয়ে উজিরপুর থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ১১ নভেম্বর রাতে উপজেলার মুন্সিরতাল্লুক গ্রামের রুস্তুম, খায়রুল ও কাঞ্চন ঘর থেকে শামসুলকে ডেকে মশাং বাজারের সরকারি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশে নিয়ে যায়। এরপর জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মিঠু এবং ওই তিনজন শামসুলকে বেদম মারধর করে কীটনাশক মিশানো চা খাইয়ে অজ্ঞাত স্থানে তিন ঘণ্টা আটকে রাখে।এরপর গভীর রাতে শামসুল বাড়িতে গিয়ে পরিবারের লোকজনের কাছে ঘটনা বলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। ওই রাতে মশাং বাজারের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে ডা. সেহেল রানা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উজিরপুর হাসপাতালে নেয়া হয়।১২ নভেম্বর শামসুলকে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাতে শামসুল মারা যান। মিঠুকে কেন আসামি করা হয়নি ? এমন প্রশ্নের জবাবে নিহতের ছেলে বাদী আলামিন জানান, মিঠু আওয়ামী লীগ নেতা ও উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবালের ভাতিজা। তাকে আসামি করলে আমরা এলাকায় থাকতে পারবো না এবং অনেক বিপদের মধ্যে পরতে হবে। তাই তাকে এ মামলায় আসামি করা হয়নি। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে মিঠু ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। উজিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে চারজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি রহস্যজনক। তবে তদন্তে যারাই অভিযুক্ত হবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।সাইফ আমীন/এআরএ/আরআইপি
Advertisement