আন্তর্জাতিক

নির্বাচনী ফায়দা লুটতে ফ্রান্সে হিজাব নিষিদ্ধের দাবি বিরোধী নেতার!

ফ্রান্সের সরকারি জায়গাগুলোতে হিজাব নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন দেশটির বিরোধী নেতা মেরিন লে পেন। ২০২২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে জনসমর্থন বাড়ানোর কৌশল হিসেবে তিনি এধরনের বিতর্কিত দাবি তুলেছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

Advertisement

ফ্রান্সের উগ্র ডানপন্থী নেতা লে পেন আগেও দু’বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন, তবে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। ২০১৭ সালের নির্বাচনে রাজনীতিতে নতুন আসা এমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁর বিপক্ষে রীতিমতো ভরাডুবি হয় তার।

পরবর্তী নির্বাচনের মাত্র ১৫ মাস আগে জনমত জরিপের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় জনসর্মথন বেড়েছে মেরিন লে পেনের। বলা চলে, এক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন ম্যাক্রোঁর ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন তিনি।

হ্যারিস ইন্টারঅ্যাক্টিভ নামে একটি পরামর্শক ও বাজার গবেষণা সংস্থার জরিপের ফলাফল বলছে, এখন যদি নির্বাচন হয় তবে ৫২ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হবেন ম্যাক্রোঁ। আর লে পেন পাবেন ৪৮ শতাংশ ভোট।

Advertisement

অর্থাৎ আরেকটু জনসমর্থন বাড়লেই এলিসি প্যালেসের টিকিট পেতে পারেন ইইউ-বিরোধী, অভিবাসনবিরোধী, ডোনাল্ড ট্রাম্প মতাদর্শের অনুসারী মেরিন লে পেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, একারণেই হয়তো ফরাসিদের মধ্যে ইসলামবিদ্বেষ বাড়িয়ে নিজের ভোট বাড়ানোর ফন্দি করেছেন ৫৩ বছর বয়সী এ নেতা।

গত শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি হিজাব নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে বলেছেন, এটিকে আমি ইসলামী পোশাকের অংশ মনে করি।

শুধু তাই নয়, ইসলামী মতাদর্শকে ‘খুনে ও সর্বগ্রাসী’ মন্তব্য করে এটি প্রতিরোধে নতুন আইন পাসেরও প্রস্তাব দিয়েছেন ফ্রান্সের এ নেতা।

Advertisement

জনসমর্থনে খানিকটা এগিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এটি একটি জরিপ, একটি মুহূর্তের চিত্র। কিন্তু এটি যা দেখায় তা হলো, আমার জয়ের সম্ভাবনা বিশ্বাসযোগ্য।

প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে জ্যাক শিরাকের পর ফ্রান্সে আর কোনো প্রেসিডেন্ট দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হতে পারেননি। ফলে, আগামী নির্বাচনে ম্যাক্রোঁ জিতলে সেটি ঐতিহাসিক হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

সূত্র: আল জাজিরা

কেএএ/এমকেএইচ