এইচএসসি পরীক্ষায় বরগুনা সরকারি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছেন রিফাত হত্যা মামলার আসামি (অপ্রাপ্তবয়স্ক) মো. রাশিদুল হাসান রিশান ফরাজী।
Advertisement
ফরাজীর মা রেশমা বেগম ফলাফলের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘তার ইচ্ছা ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করার। সরকারের কাছে দাবি, তাকে সাধারণ ক্ষমা করে লেখাপড়া করার সুযোগ দেয়া হোক।’
২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত হত্যাকাণ্ড ঘটে। ওই বছর ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দু’ভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে আসামি করা হয়।
২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনার শিশু আদালত। এরপর ১৩ জানুয়ারি থেকে অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন আদালত। মোট ৭৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে এ মামলায়।
Advertisement
এর আগে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির রায় ঘোষণা করেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান। রায়ে নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয়জনের ফাঁসির আদেশ দেন বিচারক। বাকি চারজনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
২০২০ সালের ১৪ অক্টোবর উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ মামলার রায়ের দিন ধার্য করেন বরগুনার শিশু আদালত। ২৭ অক্টোবর রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির মধ্যে ছয়জনের ১০ বছর, চারজনের পাঁচ বছর ও একজনের তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এ মামলায় তিনজনকে খালাস দেয়া হয়।
রায়ে ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা হলো- মো. রাশিদুল হাসান রিশান ফরাজী, মো. রাকিবুল হাসান রিফাত হাওলাদার, মো. আবু আব্দুল্লাহ রায়হান, মো. ওলিউল্লাহ অলি, মো. নাঈম এবং তানভীর হোসেন।
এছাড়া জয়চন্দ্র সরকার চন্দন, মো. নাজমুল হাসান, রাকিবুল হাসান নিয়ামত ও সাইয়েদ মারুফ বিল্লাহ ওরফে মহিব্বুলাহকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। প্রিন্স মোল্লাকে দেয়া হয়েছে তিন বছরের কারাদণ্ড।
Advertisement
অন্যদিকে মামলার অন্য তিন আসামি মারুফ মল্লিক, রাতুল সিকদার জয় ও আরিয়ান হোসেন শ্রাবণকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
এসআর/জিকেএস