চুল বিভিন্ন রঙে রাঙাতে ব্লিচ ব্যবহারের বিকল্প নেই। যদিও কিছু কালার ক্রিম ব্লিচ ছাড়াই আসল রং চুলে এনে দেয়। তারপরও ব্লিচ ব্যবহার করে চুল বিদেশীনির মতো করে নিলেই, চুলে অন্য রংয়ের ছাপ দ্রুত পড়ে। তবে সৌন্দর্য বাড়াতে চুলে ব্লিচ ব্যবহারের আগে কিছু বিষয় জানা জরুরি।
Advertisement
যে বিষয়গুলো জানলে হয়ত আপনার চুলে ব্লিচ করার ইচ্ছেটাই মাটি হয়ে যাবে! তাতে কি? স্বাস্থ্যকর চুল পেতে এসব কেমিক্যালযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার না করাই ভালো। তবুও অনেকেই জেনে-বুঝে চুলের ক্ষতি করে চলেছেন অহরহ। ছোট থেকে মধ্য বয়সী, নারী-পুরুষ সবাই চুল রং করার দিকে ঝুঁকছেন।
ব্লিচ করলে চুলের স্বাভাবিক রং বদলে বাদামি হয়ে যায়। হাইলাইট করার জন্য আগে ব্লিচ করতে হয়। আসলে ব্লিচ চুলের আসল রং নষ্ট করে দেয়। ব্লিচ করলে চুলের একাধিক ক্ষতি হয়ে থাকে-
>> ব্লিচ করার পর চুল আরও সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। তার উপর ইউভি রশ্মি, ধুলো-ময়লা, হাওয়া, অতিরিক্ত তেল চুল সহজে খারাপ করে দেয়।
Advertisement
>> চুলের গোড়া আলগা হয়ে যায় ব্লিচ করলে। এজন্য চুল পড়ার সমস্যা দেখা যায়। চুল সহজে বড় হতে চায় না।
>> ব্লিচ করলে চুল তার স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে। সেইসঙ্গে প্রোটিনের ভারসাম্য বজায় থাকে না, ফলে চুল নষ্ট হয়ে যায়।
>> ব্লিচ করতে খুবই কম সময় লাগে। আর এ সময়ের মধ্যে মাথার স্ক্যাল্পের ক্ষতি করে এর রাসায়নিক। মাথার ত্বকে জ্বালাও হতে পারে। ব্লিচ লাগানোর পর যদি জ্বালা শুরু হয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ধুয়ে ফেলুন।
>> অনেক সময়ে ব্লিচ করার পর মাথায় র্যাশ বা ফুসকুড়ি বের হতে পারে।
Advertisement
>> চুলে একবার ব্লিচ করলে প্রাকৃতিক রংটি আর কখনো আসবে না। বর্ণহীন হয়ে পড়ে চুল।
>> চুলে অক্সিডেশন করা হয় ব্লিচ করার সময়। যার ফলে চুল ভীষণ রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে পড়ে, প্রাণহীন লাগে।
ব্লিচ করার পর চুলের অনেক বেশি পরিচর্যা দরকার হয়। চুলের পরিচর্যা না করলে সহজে চুল নষ্ট হয়ে যাবে। এজন্য যা করণীয়-
>> চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখুন।
>> অলিভ ওয়েল, নারকেল তেল, আমন্ড তেল চুলে লাগালে চুল আর্দ্র থাকবে।
>> ভাতের মাড় দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। চুলের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে গেলে প্রতিদিন মাড় দিয়ে চুল ধুতে পারেন।
>> বড় দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করুন।
>> অ্যালোভেরা ত্বক ও চুলের ক্ষতি আটকাতে পারে। চুল ও মাথার ত্বকে অ্যালোভেরা জেল লাগান।
বোল্ডস্কাই/জেএমএস/এমএস