প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্র সচিব রাজীব মেহর্ষী। দুই দিনব্যাপী স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে রাজীব মেহর্ষী মঙ্গলবার বিকালে ঢাকা ত্যাগের আগে শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করেন। এসময় রাজীব মেহর্ষীর সঙ্গে বাংলাদেশে ভারতের রাষ্ট্রদূত পংকজ সরণ উপস্থিত ছিলেন। সাক্ষাৎকালে দু’দিনের বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক সফল হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন রাজীব মেহর্ষী। বৈঠক সফল হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। বৈঠক শেষে দু’দিনের কার্যবিররণী স্বাক্ষরিত হওয়ার বিষয়টিও প্রধানমন্ত্রীকে জানান রাজীব মেহর্ষী। ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘর তার পরিদর্শনের কথাও প্রধানমন্ত্রীকে বলেন। ভবনটিকে ইতিহাসের সাক্ষী হিসাবে উল্লেখ করেন ভারতের স্বরাষ্ট্র সচিব। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের পর পরবর্তী সরকারের এই সড়কের নাম পরিবর্তন করার বিষয়টি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ওই সড়কের নম্বর পরিবর্তন করে ১১ করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশের সকলেই ৩২ নম্বর বলতেই ওই সড়ককে বোঝে। ভারতের পানি সম্পদমন্ত্রী উমা ভারতী এবং বাংলাদেশের পানি সম্পদমন্ত্রী আনিসুল হক মাহমুদের মধ্যে বৈঠক সফল হয়েছে বলে এসময় প্রধানমন্ত্রীকে জানান পংকজ সরন। এছাড়া দিল্লিতে ভারত বাংলাদেশের মধ্যে কোস্টাল শিপিংয়ের জন্য এসওপি (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিভ প্রসিজিওর) স্বাক্ষর হওয়ার বিষয়টিও প্রধানমন্ত্রীকে জানান পংকজ সরণ। এছাড়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যুক্তরাজ্য সফরকালে লেবার পার্টির সংসদ সদস্য ও বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্রী টিউলিপ সিদ্দিকীর সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টিও শেখ হাসিনাকে অবহিত করেন পংকজ। বৈঠকে দু’দেশের সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো গোরদার করার কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভূটানের মধ্যে যানবাহন চলাচল চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার হয়েছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। স্থলবন্দর বাংলাবন্ধে যানবাহনের জট কমাতে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও প্রধানমন্ত্রীকে বলেন রাজীব মহের্ষী। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভী, মূখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এবং স্বরাষ্ট্র সচিব মো. মোজাম্মেল হক খান উপস্থিত ছিলেন।এসএ/একে/আরআইপি
Advertisement