ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের ভোলা অংশে ফেরিঘাট মেঘনা নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ার আড়াই মাস পর মঙ্গলবার নতুন করে ঘাট নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ১৬ জেলার সহজ যোগযোগের মাধ্যম ইলিশা চড়ার মাথায় এ ঘাট হচ্ছে। ১৫ দিনের মধ্যে এ ঘাট নির্মাণ শেষে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে জানান, বিআইডব্লিউটিএ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শাহ নেওয়াজ কবির। মেঘনা নদীর ভাঙনের তীব্রতা কমে আসায় বিআইডব্লিউটিএ এর কারিগরি টিম আগের ফেরিঘাট সড়কেই নতুন ঘাট স্থাপনের জন্য প্রস্তাব পাঠায়। বরিশালের মাসুদ এন্টারপ্রাইজ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে। উজানের পানির চাপ আর মেঘনা নদীর তীব্র স্রোত ও অতি জোয়ারে ঘাটের অ্যাপ্রোচ সড়কসহ দুই কিলোমিটার সড়ক সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যায়। ২৭ জুলাই থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। পরে ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন ঘাট করা হলেও ওই ঘাটও টেকেনি। ঈদুল আজহার সময় দক্ষিণাঞ্চলের যানবাহনের চাপ সামাল দিতে গত ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে বিকল্প পথে ভোলা-বরিশাল রুটের ভেদুরিয়া ঘাট ব্যবহার করায় ফেরি পারাপারে দুই ঘণ্টার স্থলে সময় লাগে আট ঘণ্টা। এতে গত দুই মাস চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের। দূরপাল্লার বাস চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। দেশের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের ১৬ জেলার সহজ যোগাযোগের জন্য ২০০৮ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়। চট্টগ্রাম থেকে খুলনা ও বৃহত্তর বরিশালের সড়ক পথে ২৪০ কিলোমিটার দূরত্ব কমে যায়। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, পানি সম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, নৌ-মন্ত্রী শাজাহান খান ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জরুরি পদক্ষেপ নিতে নিদের্শ দেন। ওই সময় প্রায় ৫ কোটি টাকার কাজ করা হলেও তা কোনো কাজে আসেনি। বর্তমানে ভাঙন স্থায়ী ভাবে ঠেকাতে ৫শ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে বলে সূত্র জানায়। এদিকে সোমবার শুরু হওয়া ঘাট সম্পূর্ণ উপযোগী গতে ১২/১৩ দিন সময় লাগবে। ৩০ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন ঘাট থেকে ফেরি চলাচল শুরু করার পরিকল্পনা মাথায় রেখে কাজ করা হবে বলেও জানান বিআইডব্লিউটিএ এর কর্মকর্তারা। ফেরির দায়িত্বে থাকা বিআইডব্লিউটিসির ম্যানেজার আবু আলম জাগো নিউজকে জানান, দুটি ফেরি কিষানী ও কনকচাপা এ রুটের জন্য রয়েছে। নতুন ঘাট নির্মাণ হলে দুর্ভোগ কমে আসবে। এতে ফেরির জালানি খরচ ও অর্ধেকে নেমে আসবে। অমিতাভ অপু/এমজেড/পিআর
Advertisement