আইন-আদালত

বিচারকের ঘুষ দুর্নীতির জন্য আইনজীবীদের আদালত বর্জন

বরগুনার নারী ও শিশু দমন ট্রাইবুনালের বিচারকের ঘুষ দুর্নীতির কারণে ওই আদালত বর্জন করেছেন বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির আইনজীবীরা। মঙ্গলবার সকালে জেলা আইনজীবী সমিতির এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. সওগাতুল আলম হানিফ জাগো নিউজকে জানান, অনেকদিন ধরেই বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির অনেক আইনজীবী বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মো. শরিফুল ইসলামের ঘুষ দুর্নীতির বিষয়ে আইনজীবী সমিতিতে অভিযোগ জানাতে থাকেন। এসব অভিযোগ খতিয়ে ওই বিচারকের ঘুষ-দুর্নীতির সত্যতা পাওয়া গেছে। অ্যাডভোকেট মো. সওগাতুল আলম হানিফ আরও জানান, বিচারক শরিফুল ইসলামের সঙ্গে এ বিষয়ে কিছুদিন আগে তিনিসহ আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ কথা বলেছেন। সেসময় বিচারক শরিফুল ইসলাম এসব বিষয়ে সচেতন থাকবেন বলে তাদের প্রতিশ্রুতি দেন। সওগাতুল আলম হানিফ আরও বলেন, বিচারক শরিফুল ইসলাম তার প্রতিশ্রুতি রাখেননি। বরং তার অনিয়ম এবং দুর্নীতির পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাই বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিচারক শরিফুল ইসলামের আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. মোতালেব জাগো নিউজকে জানান, বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতি সব সময়ই ঘুষ দুর্নীতি এবং অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল এবং আছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিচার বিভাগের স্বাধীনতাসহ ন্যায় বিচার অক্ষুন্ন রাখতে সর্বসম্মতিক্রমে জেলা আইনজীবী সমিতির জরুরি সভা ডেকে তারা আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি আরও জানান, বিষয়টি জানিয়ে ইতোমধ্যেই বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে প্রধান বিচারপতিসহ আইনমন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিচারক শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে জেলা আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এমন একজন ভুক্তভোগী আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বিচারক শরিফুল ইসলাম বরগুনায় যোগদানের পর থেকেই অর্থের বিনিময়ে বিচার বিক্রী করে আসছেন। তিনি বলেন, নাঃ শিঃ ৬৮২/২০১৫ এবং মানব পাচার ২০/১৫ নম্বরের দুটি মামলার আইনজীবী। এ দুটি মামলায় বাদী পক্ষের যথেষ্ট যৌক্তিক গ্রাউন্ড থাকা সত্ত্বেও ঘুষের বিনিময়ে তা খারিজ করে দিয়েছেন বিচারক শরিফুল ইসলাম।    এ বিষয়ে বিচারক শরিফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।মো. সাইফুল ইসলাম মিরাজ/এমজেড/আরআইপি

Advertisement