দেশজুড়ে

খুলনা বিভাগে প্রথম টিকা পেল কুষ্টিয়া

খুলনা বিভাগের মধ্যে সর্বপ্রথম কুষ্টিয়া জেলায় করোনা ভাইরাসের টিকা (ভ্যাকসিন) এসে পৌঁছেছে।

Advertisement

শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৬টায় গাড়ি থেকে করোনা ভাইরাসের টিকা (ভ্যাকসিন) কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এসে পৌঁছায়।

এ সময় সেখানে কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম ভ্যাকসিনগুলো বুঝে নেন। পরে ভ্যাকসিনগুলো সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ভ্যাকসিন সংরক্ষণাগারের ফ্রিজে রাখা হয়।

সূত্র জানায়, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারির পর কুষ্টিয়া জেলায় টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হতে পারে। সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ‘খুলনা বিভাগে প্রথম জেলা হিসেবে কুষ্টিয়া জেলা টিকা গ্রহণ করল। প্রথম চালানে যে টিকা পাওয়া গেছে তাতে ৩০ হাজার মানুষকে দেওয়া যাবে। একই দিন মেহেরপুরসহ আরও পাঁচটি জেলায় এই টিকা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে’।

Advertisement

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এসব টিকা সংরক্ষণের জন্য সিভিল সার্জন কার্যালয়ে আগে থেকেই পাঁচটি ফ্রিজ প্রস্তুত রাখা ছিল। উপজেলা পর্যায়েও এরকম ফ্রিজ প্রস্তুত রাখা আছে।

প্রথম চালানে শুক্রবার ভোরে পাঁচটি কার্টন পাওয়া গেছে। প্রতিটি কার্টনে এক হাজার ২০০ ভায়েল (শিশি) টিকা রয়েছে। প্রতিটি কার্টনে ১২ হাজার ডোজ টিকা আছে। এই টিকা ৩০ হাজার মানুষকে দেওয়া যাবে।

টিকা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবকদেরকেও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল, পুলিশ লাইনস হাসপাতালসহ জেলার পাঁচটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা দেওয়ার স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, জেলায় করোনার টিকা সংরক্ষণ, ব্যবস্থাপনা, টিকা পাবেন এমন ব্যক্তিদের তালিকা প্রণয়নসহ যাবতীয় কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করে এসব কার্যক্রম চূড়ান্ত করা হয়েছে। জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা পর্যায়ে ইউএনওদের প্রধান করে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্যদের কমিটিতে উপদেষ্টা করা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুটি, জেলা হাসপাতালে চারটি বুথ স্থাপন করা হবে।

Advertisement

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের প্রদত্ত তথ্য মতে, কুষ্টিয়া জেলায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা তিন হাজার ৮৫৯ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন তিন হাজার ৭৩৬ জন। আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ৮৬ জন।

আল-মামুন সাগর/এসএমএম/এমএস