কুড়িগ্রাম জেলা সদরের হলোখানা ইউনিয়নে রাতের আঁধারে ২০ শতক জমির শসা ক্ষেত উপড়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় দুশ্চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সৈয়দ আলী নামের এক ভূমিহীন কৃষক।
Advertisement
জানা গেছে, হলোখানা ইউনিয়নের ছয় নম্বর ওয়ার্ডের মদাজাল গ্রামের কৃষক সৈয়দ আলী দীর্ঘ ১০ বছরধরে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে জমি লিজ নিয়ে শসা চাষ করে আসছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় একই গ্রামের আব্দুস সামাদের একই ইউনিয়নের ভেরভেরী এলাকায় থাকা ২০ শতক জমি তিন মাসের জন্য বর্গা নেন ওই কৃষক। এতে জমির মালিককে চুক্তির ছয় হাজার টাকা পরিশোধও করেন তিনি।
এদিকে, শসার পাইকারি বিক্রেতা কাঁঠালবাড়ী এলাকার খাইরুলের কাছ থেকে অগ্রিম ১৫ হাজার টাকা নেন সৈয়দ আলী। চাষকৃত শসার ফলন তুলে তা ওই টাকার বিনিময়ে পরিশোধ করবেন তিনি। কিন্তু শসা ধরার সপ্তাহখানেক আগে বুধবার দিবাগত রাতে চাষকৃত শসা গাছগুলো রাতের আঁধারে উপড়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক সৈয়দ আলী বলেন, আমি গরীব মানুষ। আমি দিনমজুরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। অন্যের জমি বর্গা নিয়ে শসা চাষ করেছি। এতে আমার সব মিলে ২২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ব্যয়ের ২২ হাজার টাকার মধ্যে ১৫ হাজার টাকা কাঁঠালবাড়ী এলাকার খাইরুল মহাজনের কাছথেকে নিয়েছিলাম। বিনিময়ে আমি চাষকৃত শসা দেব বলেছি। কিন্তু রাতের আঁধারে কে বা কারা আমারসব শসা গাছ উপড়ে ফেলেছে। আমি এর বিচার চাই।
Advertisement
সৈয়দ আলীর ছেলে লিংকন আলী অভিযোগ করে বলেন, আমার সঙ্গে প্রতিবেশী এক ছেলের ক্রিকেট খেলা নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়েছিল। পরে সে দ্বন্দ্ব পারিবারিক পর্যায়ে পৌঁছায়। আমার ধারণা সেই প্রতিবেশীর পরিবার আমাদের শসা ক্ষেতের ক্ষতি করেছে।
হলোখানা ইউনিয়নের ছয় নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খাইরুল ইসলাম মন্ডল বলেন, আমিসরেজমিনে গিয়েছিলাম। ওই কৃষক গরীব মানুষ। শসা ক্ষেত উপড়ে দেয়ায় সে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমি চাই যারা তার ক্ষতি করেছে, তাদের যথাযথ বিচার হোক।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মো. মাসুদ রানা/এসজে/জিকেএস
Advertisement