জাতীয়

গুজবে বিভ্রান্ত না হয়ে টিকা নেয়ার আহ্বান বিএসএমএমইউ ভিসির

গুজবে বিভ্রান্ত না হয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে টিকা নেয়ার আহ্বান জা‌নি‌য়ে‌ছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ডা. কনক কা‌ন্তি বড়ুয়া।

Advertisement

বৃহস্প‌তিবার (২৮ জানুয়ারি) নিজে টিকা নেয়ার পর দেশবাসীর প্রতি এ আহ্বান জানান বিএসএমইউ উপাচার্য। তার টিকাগ্রহ‌ণের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে টিকাদান কর্মসূচির সূচনা হয়। এদিন সেখানে ১৯৮ জন টিকা গ্রহণ করেন।

সকাল ৯টার দিকে মিন্টো রোডে অবস্থিত বিএসএমএমইউর কনভেনশন সেন্টারে (পুরাতন শেরাটন হোটেলের উত্তর দিকে) ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার কোভিড-১৯ টিকা নেন অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।

টিকা নেয়ার পর কোনো ধরনের গুজবে বিভ্রান্ত না সংশয় কাটিয়ে দ্বিধা ভুলে দেশবাসীকে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন নেয়ার আহ্বান জানান উপাচার্য।

Advertisement

উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী সিদ্ধান্ত ও সফল কূটনৈতিক নেতৃত্বের কারণেই দ্রুততম সময়ে দেশবাসীর জন্য কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন পাওয়া গেছে, এজন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’

তিনি বলেন, ‘টিকা নেয়াটা আমার সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিগত দায়িত্ব। মানুষ আমাকে দেখে আস্থা ও সাহস পাবে। মানুষের সংশয় ইতোমধ্যে কাটতে শুরু করেছে। আমরা চাই, আমাদেরকে দেখে মানুষ আস্থা পাক এবং টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ হোক।’

টিকা নেয়ার পর তিনি আগের মতোই সুস্থ ও স্বাভাবিক অনুভব করছেন বলে জানান উপাচার্য।

প্রথমদিনে ৪টি বুথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিক্ষক, চিকিৎসক, আবাসিক শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের মধ্য থেকে ১৯৮ জন করোনার টিকা নেন।

Advertisement

কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে বিএসএমএমইউর কনভেনশন সেন্টারে তথ্যকেন্দ্র, ওয়েটিং রুম, ৮টি বুথ, পোস্ট কোভিড অপেক্ষাগার, ৮ শয্যার সিকবেড, ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন ও ইন্টারনাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞসহ বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে দুটি চিকিৎসক টিম, চারটি এইচডিইউ, কেবিন ব্লকে ৪টি শয্যা ও দুটি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ডা. কনক কান্তির পর একে একে টিকা নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ ও বক্ষব্যাধি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. চৌধুরী ইয়াকুব জামাল, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. গাজী শামীম হাসান, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. জুলফিকার আহমেদ আমিন, নিউরোসার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এটিএম মোশারেফ হোসেন, ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, লিভার (হেপাটোলজি) বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, শিশু কিডনি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. রনজিত রঞ্জণ রায়, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ডা. এএইচএম জহুরুল হক সাচ্চু, সহকারী প্রক্টর ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. কে এম তারিকুল ইসলাম, সেবা তত্ত্বাবধায়ক সন্ধ্যা রানী সমাদ্দার প্রমুখ।

এমইউ/এসএস/এএসএম