দেশব্যাপী করোনা ভ্যাকসিন কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তাররা টিকা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল আহমেদ।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান তিনি।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল বলেন, ‘আজকে এখানে সিনিয়র ডাক্তাররা ভ্যাকসিন নিয়েছেন, সুতরাং সিনিয়ররা নেননি এটা বলার সুযোগ থাকছে না। সবার সামনে তারা একটা উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘অক্সফোর্ডের এই ভ্যাকসিন ফাইজার কিংবা মডার্নার ভ্যাকসিনের চেয়ে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম। যেকোনো এখানে তেমন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা কম।’
Advertisement
গতকাল যারা নিয়েছেন এবং আজকে যারা নিয়েছেন তারা সবাই সুস্থ আছে জানিয়ে কুর্মিটোলা হাসপাতালের পরিচালক বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কারও কোনো সমস্যা নাই। প্রত্যেকেই ভালো আছে। একটু ব্যথা-জ্বর এগুলো যেকোনো ভ্যাকসিন নিলে হয়, আমরা জানি।’
‘এয়ারফোর্সের একজন স্কোয়াড্রন লিডার নিয়েছিলেন গতকাল, তার একটু জ্বর এসেছিল। প্যারাসিটামল খেয়েছেন তিনি। সাংবাদিক একজনের জ্বর জ্বর ভাব এসেছিল। উনি কিন্তু মেপেও দেখেননি। এটা খুব স্বাভাবিক, ভ্যাকসিনেশনের পর এটা হতেই পারে,’ যোগ করেন তিনি।
কুর্মিটোলা হাসপাতালের পরিচালক বলেন, ‘গতকাল ভ্যাকসিন প্রদানের প্রথমদিনে ৩২ জনকে ভ্যাকসিন দেয়ার কথা ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত দিয়েছেন ২৬ জন। এদের মধ্যে ৩ জন শেষদিকে মত পরিবর্তন করেছেন। আর বাকিদের মধ্যে একজনের এলার্জিক হিস্ট্রি ছিল, আরেকজনের এই মুহূর্তে ঠান্ডা লাগার একটা হিস্ট্রি ছিল। আরেকজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, তার হার্টের একটা প্রবলেম ছিল। কেবল শুরু করলাম, আরও একটু দেখে নিতে চাই। উনাদের যে দেয়া যাবে না, তা কিন্তু না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি কোভিড আক্রান্ত ছিলাম। ৪ সপ্তাহের একটা বাধা আছে, সেটা শেষ হয়নি। যে কারণে আমি আজকে ভ্যাকসিন নিইনি। তার মানে এই না আমি নিতে পারব না।’
Advertisement
এদিন সকাল ১০টায় কুর্মিটোলায় টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম টিকা নেন হাসপাতালটির নাক-কান-গলা বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট একেএম মুনীরুল হক। এরপর পর্যায়ক্রমে ৪২ চিকিৎসক, ৩০ নার্স, ৯ আনসার সদস্য এবং ১৯ আউটসোর্সিং কর্মীকে টিকা দেয়া হয়।
এসএম/এসএস/জেআইএম