২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের দুই শতাধিক দেশে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস তাণ্ডব চালাচ্ছে। কিন্তু করোনার উৎস কোথায় এবং কিভাবে এই ভাইরাস এলো সে বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়।
Advertisement
করোনার মূল উৎস সম্পর্কে জানতে সম্প্রতি চীনের উহান শহরে সফর করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি বিশেষ টিম। সেখানে পৌঁছানোর পর ওই টিমের সব সদস্যকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। তাদের কোয়ারেন্টাইনের সময় শেষ হয়েছে। এখন তারা তদন্ত কাজ শুরু করতে পারবেন। করোনার উৎস খুঁজে পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছে ওই টিম।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওই টিমের বিজ্ঞানীরা সেখানকার বিভিন্ন রিসার্চ সেন্টার, হাসপাতাল এবং সামুদ্রিক প্রাণীর বাজারের সঙ্গে সম্পৃক্ত লোকজনকে করোনার প্রাদুর্ভাবের বিষয়ে প্রথমিক প্রশ্ন করবেন। চীনা কর্মকর্তাদের দেয়া বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত এবং প্রমাণের ওপরও এই গবেষণা নির্ভর করছে।
বেশ কয়েক মাস ধরেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং চীনের মধ্যে আলাপ-আলোচনার পর সংস্থাটির বেশ কয়েকজন সদস্যকে চীন সফরের অনুমতি দেয়া হয়েছে। গত ১৪ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১৩ জন বিশেষজ্ঞের একটি দল উহানে পৌঁছায়। তাদের দু'সপ্তাহের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ওই দলটির সব সদস্যের কোয়ারেন্টাইনের সময়সীমা শেষ হয়েছে। কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় তারা একে অন্যের সঙ্গে এবং চীনা বিজ্ঞানীদের সঙ্গে ভিডিও কলে যোগাযোগ রেখেছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই দলটি হোটেল থেকে বের হয়েই একটি বাসে উঠে পড়েন। সে সময় তারা কোনো সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেননি। বৃহস্পতিবার সকালেই ওই টিমের সদস্যরা তাদের কোয়ারেন্টাইন শেষ হওয়ার বিষয়ে টুইট করেছেন। তারা মেডিক্যাল আইসোলেশন শেষ করার যে সনদ পেয়েছেন তার ছবিও টুইটারে পোস্ট করেছেন।
ওই দলটি উহানে পৌঁছানোর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, তাদের এক সদস্যকে চীন প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি। বেইজিং পরবর্তীতে জানায় যে, এটা ভুল বোঝাবুঝির কারণে হয়েছে।
করোনা প্রথমবার উহানে শনাক্ত হলেও চীন বরাবরই বলে আসছে যে, করোনার মূল উৎস উহানে নয়। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এই মহামারি সম্ভবত চীন, স্পেন, ইতালি অথবা যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের কোনো দেশে শুরু হয়েছে। হিমায়িত খাদ্যের মাধ্যমে এটি চীনে প্রবেশ করেছে বলেও দাবি করা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
টিটিএন/জেআইএম
Advertisement