ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোক বার্তায় উপাচার্য এ শোক জ্ঞাপন করেন। অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলামের মঙ্গলবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬০ বছর।শোক বাণীতে উপাচার্য বলেন, অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম একজন মেধাবী শিক্ষক এবং মনোবিজ্ঞান বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হিসেবে বিশেষ সুনাম অর্জন করেন। তিনি মনোবিজ্ঞান বিষয় ছাড়াও সমাজ, রাজনীতি প্রসঙ্গে গ্রন্থ রচনা করেছেন। সমাজ মনোবিশ্লেষণে তাঁর প্রবন্ধ, নিবন্ধ সকলের দৃষ্টি আকৃষ্ট করেছে। তাঁর বিশেষজ্ঞতার অবদান বিশ্ববিদ্যালয়ে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। উপাচার্য মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর পরিবারের শোক-সন্তপ্ত সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।প্রসঙ্গত, অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম -এর জন্ম ১৯৫৫ সালে। তিনি ১৯৭০ সালে এসএসসি ও ১৯৭২ সালে এইচএসসি পাস করেন। তিনি ১৯৭৬ সালে বিএসসি অনার্স প্রথম শ্রেণিতে দ্বিতীয় এবং ১৯৭৭ সালে এমএসসি মাস্টার্স পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণ হন। ১৯৯১ সালে তিনি ভারতের ‘দি জয়াতিরাও ইউনির্ভাসিটি অব বরোদা’ থেকে পিএইচ ডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি প্রভাষক বিভাগে যোগদান করেন ১৯৮১ সালে। ২০০০ সালের আগস্ট মাসে তিনি অধ্যাপক পদে অধিষ্ঠিত হন এবং বর্তমানে তিনি মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গ্রন্থ হলো- ‘বাংলাদেশ: সন্ত্রাস, রাজনীতি ও অন্যান্য প্রসঙ্গ’, ‘বাংলাদেশ- সমাজ ও রাজনীতি ভাবনা’, ‘বাংলাদেশ- অন্য আলোয় দেখা’। এছাড়া সমাজ, রাজনীতি ও মনস্তত্বের উপর জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত ৪৮টি প্রবন্ধের সংকলক ছিলেন তিনি। মনোবিজ্ঞান বিষয়ে ‘ঢাকা ইউনির্ভাসিটি জার্নাল অব সাইকোলজি’ পত্রিকায় তাঁর অস্যংখ্য গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক কন্যা, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। এমএইচ/এসকেডি/পিআর
Advertisement