বিনোদন

জাপানি ভাষায় নির্মিত ‘ডকুমেন্টারি অন বঙ্গবন্ধু’র প্রদর্শনী

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে জাপানি ভাষায় নির্মিত ‘ডকুমেন্টারি অন বঙ্গবন্ধু’র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৭ জানুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ২৮ মিনিট দৈর্ঘ্যের এ ডকুমেন্টারি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

Advertisement

এটি নির্মাণ করেছেন বিখ্যাত জাপানি চলচ্চিত্র পরিচালক নাগিসা ওসিমা। প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে তিনি ভিডিও বার্তায় যুক্ত হয়ে বাংলাদেশি জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

তিনি বলেন, আজ এটা সত্যিই খুশির মুহূর্ত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে জাপানি নাগরিক নাগিসা ওসিমা যে ডকুমেন্টারি তৈরি করেছে সেজন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এই ঐতিহাসিক ডকুমেন্টারির মাধ্যমে আমরা বঙ্গবন্ধুকে জানতে ও বুঝতে পারব বলে আশা করি।

Advertisement

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর অবদান ও তার রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো।

তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠানে কথা বলার সুযোগ পেয়ে আমি সত্যিই গর্বিত। বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ।

প্রদর্শনীর শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, এই ডকুমেন্টারিতে বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও রাজনৈতিক জীবনকে তুলে ধরা হয়েছে। সদ্য স্বাধীন একটি দেশকে ঘিরে তার যে প্রচেষ্টা সেটিও দেখানো হয়েছে।

Advertisement

অনুষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, জাপান আমাদের সত্যিকারের বন্ধু। সবসময় আমরা জাপানকে আমাদের পাশে পেয়েছি। এ ডকুমেন্টারি বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে যে সম্পর্ক রয়েছে তারই পরিচয় বহন করে।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বেশকিছু শর্টফিল্মের কাজ করছি। করোনা পরিস্থিতির কারণে পুরোপুরি শেষ হয়নি, আশা করছি দ্রুতই শেষ হয়ে যাবে।

অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠানের অংশ হতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে। জাতির পিতা, স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ডকুমেন্টারি তৈরির জন্য আমি নাগিসা ওসিমার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। একই সঙ্গে আমরা জাপান সরকারের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

অনুষ্ঠানের শুরুতে মুজিব শতবর্ষের থিম সঙ্গীত ‌‘তুমি বাংলার ধ্রুবতারা, তুমি হৃদয়ের বাতিঘর’ পরিবেশন করা হয়।

এওয়াইএইচ/এসএস/এমএস