জাতীয়

৯৬ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন যাচ্ছে যশোরে, প্রস্তুত ২৭টি বুথ

যশোর জেলার জন্য প্রথম ধাপে ৯৬ হাজার ডোজ করোনা প্রতিরোধ ভ্যাকসিন (টিকা) বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগ। বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জাগোনিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

Advertisement

তিনি বলেন, সারাদেশের সাথে যশোরেও আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হবে। ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য ইতোমধ্যে জেলায় ২৭টি বুথ নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিটি বুথে একটি করে ভ্যাকসিন প্রদানকারী টিম থাকবে। আর গোটা জেলায় ৯টি মেডিকেল টিম থাকবে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য।

সিভিল সার্জন বলেন, প্রথম ধাপে যশোর জেলার সম্মুখ যোদ্ধা হিসাবে বিবেচিত চিকিৎসক, সেবিকা ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা, সাংবাদিক, পুলিশ, বিজিবি, আনসার, ব্যাংকারসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের ৫৪ হাজার জনের তালিকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়। একই সঙ্গে জেলার জন্য এক লাখ বিশ হাজার ডোজ করোনা ভ্যাকসিনের চাহিদা দেওয়া হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে। পরে সেখান থেকে যশোর জেলার জন্য ৯৬ হাজার ডোজ করোনা ভ্যাকসিন বরাদ্দের কথা জানানো হয়েছে। দ্রুত এ টিকা যশোরে পৌঁছে যাবে।

ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য তিনিসহ চারজন চিকিৎসক ঢাকা থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন বলেও জানান সিভিল সার্জন।

Advertisement

তিনি আরও জানান, ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য ২৭টি বুথের পাশাপশি আরো রিজার্ভে থাকবে ৬টি বুথ। এরমধ্যে যশোর সদর উপজেলা ছাড়া সাতটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুইটি করে ১৪টি বুথ থাকবে। যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে আটটি বুথ, পুলিশ লাইন হাসপাতালে একটি এবং যশোর সেনানিবাসের অভ্যন্তরে সিএমএইচে চারটি বুথ স্থাপন করা হচ্ছে। প্রত্যেক বুথের জন্য একটি করে ভ্যাকসিন প্রদানকারী টিম নির্ধারণ করা হয়েছে। এই টিমে দুইজন টিকা প্রদান করবেন এবং চারজন স্বেচ্ছাসেবী তাদের সহযোগিতা করবেন।

এছাড়া টিকার সার্বিক পরিস্থিতি দেখভালের জন্য জেলায় ৯টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। যশোর সদরসহ আট উপজেলায় ৯টি এবং সিএমএইচে একটি মেডিকেল টিম কাজ করবে।

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায় জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও জেলা সিভিল সার্জনের চিঠি পাওয়ার পরে হাসপাতালে আটটি বুথের জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। বুথগুলো তদারকির জন্য সিভিল সার্জন অফিস ছাড়াও একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। তারা টিকা গ্রহণকারীর কোন সমস্যা হচ্ছে কি না সেগুলো দেখবেন। সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন আরও জানান, প্রথম ধাপের পরে জেলায় যারা অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করেছেন বা করছেন তাদের টিকা প্রদান করা হবে। জেলায় টিকা নিতে ইচ্ছুকদের অনলাইনে বা সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

মিলন রহমান/আরএইচ/এমএস

Advertisement