দেশজুড়ে

ভাতিজির সঙ্গে বিয়ে না দেয়ায় মেয়েকে ধর্ষণ

নেত্রকোনার মদনে ভাতিজির সঙ্গে বিয়ে না দেয়ায় নিজের মেয়েকে এক যুবক ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

Advertisement

ঘটনাটি ঘটেছে মদন উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের রুদ্রশ্রী গ্রামে। গত বৃহস্পতিবার এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি বুধবার (২৭ জানুয়ারি) জানাজানি হয়। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ দেয়া হয়নি।

অভিযুক্ত যুবকের নাম জাকিম মিয়া (২২)। তিনি একই গ্রামের প্রতিবেশী সমুজ আলীর ছেলে। ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী স্থানীয় একটি কওমি মাদরাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী।

ছাত্রীর পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, জাকিম মিয়া আগে থেকেই ওই ছাত্রীর বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। এ সুযোগে তার চাচাতো বোনকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর বাবা অসম্মতি প্রকাশ করেন। এক মাস আগে তার চাচাতো বোনকে অন্য জায়গায় বিয়ে দেয়া হয়। এরপর থেকেই দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে আসছিলেন জাকিম।

Advertisement

গত বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) রাতে ছাত্রীর বাবা বোরো জমিতে সেচ দিতে হাওরে যান। খাওয়া-দাওয়া শেষে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে নিজ ঘরেই ঘুমিয়ে পড়ে ওই ছাত্রী। এসময় প্রতিবেশী জাকিমসহ তিন-চারজন ঘরে প্রবেশ করে তার মুখে কাপড় চাপা দিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখান এবং বাড়ির সামনে পতিত জমিতে নিয়ে যান। পরে সেখানে জাকিম ধর্ষণ করলে ছাত্রী অচেতন হয়ে পড়ে। পরে বাবা জমিতে সেচ দিয়ে বাড়ি আসার সময় মেয়েকে বাড়ির সামনে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরিবারের লোকজন তাকে বাড়ি নিয়ে এলে সে সব ঘটনা খুলে বলে।

ধর্ষনের শিকার ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘প্রতিবেশী সমুর আলীর ছেলে জাকিম আমার বড় ভাইয়ের মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে আমি এতে অসম্মতি প্রকাশ করি। এক মাস আগে আমার ভাতিজিকে অন্যত্র বিয়ে দিয়েছি। এরপর থেকেই জাকিম আমাদের দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে আসছিল। বৃহস্পতিবার রাতে আমি জমিতে সেচ দিয়ে হাওর থেকে আসার সময় দেখতে পাই বাড়ির সামনের জমিতে অচেতন অবস্থায় আমার মেয়ে পড়ে রয়েছে। বাড়িতে আনার পর জ্ঞান ফিরলে সে সব খুলে বলে।’

ছাত্রীর মা বলেন, ‘আমার শিশু মেয়েটিকে জাকিম ধর্ষণ করেছে। আইনের আশ্রয় নিলে আমাদের গ্রামছাড়া করবে বলেছে। আমরা গরিব মানুষ তাই ভয়ে চুপ করে আছি।’

ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, শুনেছি রুদ্রশ্রী গ্রামে একটি মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। আমি এর বিচার দাবি করছি।

Advertisement

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুজ্জামান জানান, এ ব্যাপারে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এইচ এম কামাল/এসআর/জেআইএম