খেলাধুলা

চট্টগ্রামে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে দল

শনিবার রাতে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে পা রেখেছে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে জাতীয় ক্রিকেট দল। ফ্লাইটের সমস্যার কারণে নির্ধারিত সময়ের দুই ঘণ্টা দেরীতে চট্টগ্রামে পৌঁছেছে দু’দলের ক্রিকেটাররা। রাত পৌঁনে ৯টায় পৌঁছান তারা। কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বিমানবন্দর থেকে সরাসরি হোটেল পেনিনসুলায় যায় ক্রিকেটাররা।তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ দলকে বেশ ফুরফুরে দেখা গেছে। বন্দরনগরী চট্টগ্রামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্ট ম্যাচে ১২ নভেম্বর জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। শেষ টেস্টেও জয়ের প্রত্যাশা রেখে মুশফিকবাহিনী চট্টগ্রামে পা রেখেছেন। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ ৬টি টেস্ট ম্যাচ জিতেছে, যার তিনটি এসেছে মুশফিকের হাত ধরে। আর এই প্রথমবারের মতো টেস্ট সিরিজও জিতেছেন তিনি। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে এবার জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলকে ওয়াইটওয়াশ করতে পারবে বাংলাদেশ।চট্টগ্রামে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ইমরুল কায়েস। টানা ব্যর্থ হওয়ায় তৃতীয় টেস্ট দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে ওপেনার শামসুর রহমানকে। শুভাগত হোমকে নিয়েও চিন্তায় ছিলেন নির্বাচকরা। দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে হাফসেঞ্চুরি (৫০) করায় তার ওপর নির্ভর করছেন তারা। তৃতীয় টেস্টের পর ১৯ নভেম্বর প্রদর্শনী ম্যাচসহ ২১ ও ২৩ নভেম্বর দুটি ওয়ানডে ম্যাচ হবে চট্টগ্রামে। প্রতিটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে নগরীর জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।পুলিশ কমিশনার আব্দুল জলিল মণ্ডল জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে দলের খেলোয়াড়, আম্পায়ার, অফিসিয়াল কর্মকর্তা, আইসিসি কর্মকর্তা ও খেলা সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য পুলিশের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে। শান্তিপূর্ণভাবে খেলা সম্পন্ন করতে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব, এপিবিএন, রেলওয়ে পুলিশ, আনসার, বিসিবি, হোটেল পেনিনস্যুলা, পিডিবি, ওয়াসা, বিটিআরসি, সিভিল সার্জন অফিস, সিএসসিআর, সিএমসিএইচ, সিটি কর্পোরেশন, ফায়ার ব্রিগেড, বিআরটিএ, সিডিএ, কর্ণফুলী গ্যাস ও কাস্টমস নিজ নিজ দায়িত্বে নিয়োজিত থাকছে।তিনি আরও জানিয়েছেন, স্টেডিয়ামে দর্শকদের কিছু জিনিস বহন ও সঙ্গে রাখা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে- আগ্নেয়াস্ত্র, অন্যান্য অস্ত্র, ধারাল অস্ত্র যেমন- ছুরি, খেলনা অস্ত্র, বাজি, সিগারেট, দিয়াশলাই, ম্যাচ লাইটার, বিস্ফোরক, আগুন উৎপাদক দ্রবাদি, ধাতব রড, বাঁশ/বেতের লাঠি, লাঠি জাতীয় জিনিস, দাহ্য পদার্থ, প্রেসারাইজড গ্যাস কন্টেইনার, রাসায়নিক দ্রব্য, লেজার পয়েন্টার, আয়না, বডি স্প্রে জাতীয় কন্টেইনার, মাদকদ্রব্য, মদ, সফট ড্রিংকস, বোতল, ক্যান, যে কোনো পানীয়, কোনো জীবজন্তু, পাখি, উচ্চ শব্দ উৎপাদনকারী শিঙ্গা, বাঁশি, হর্ণ, বাদ্যযন্ত্র, খাদ্যদ্রব্য, বাণিজ্যিক/প্রফেশনাল ক্যামেরা, অশ্লীল, রাজনৈতিক, সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টিকারী বক্তব্য ও ছবি সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন, শক্তিশালী ক্যাসেট/সিডি প্লেয়ার, ইটের টুকরা, পাথর, ডিম ইত্যাদি।আসন্ন টেস্ট ম্যাচটি সফলভাবে সম্পন্ন করতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করে বলেছেন, চট্টগ্রামে রাস্তা পরিষ্কার, দখলমুক্ত ও যানজটমুক্ত রাখতে পারলে চট্টগ্রামের সুনাম সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে এবং চট্টগ্রামের প্রতি বিদেশী পর্যটকও আকৃষ্ট হবে। তাই চট্টগ্রামের সুনাম বৃদ্ধিতে তিনি সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

Advertisement