চলতি বছরের বেশিরভাগ সময়ই নিউজিল্যান্ডের সীমান্ত বন্ধ থাকবে। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন। করোনা মহামারির কারণেই এমন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
Advertisement
এক বিবৃতিতে জেসিন্ডা আর্ডার্ন বলেন, দুই মাসের বেশি সময় পর চলতি সপ্তাহে নিউজিল্যান্ডে নতুন করে করোনা সংক্রমণের ঘটনা এটাই প্রমাণ করেছে যে, দেশজুড়ে করোনার হুমকি এখনও আছে। সে কারণে এ বিষয়ে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।
তিনি জানান, তার সরকার এখনই সীমান্ত খুলবে না। গত বছরের মার্চ থেকেই সীমান্ত বন্ধ রেখেছে নিউজিল্যান্ড। বিশ্বের অনেক শক্তিশালী দেশও যখন করোনার সঙ্গে পেরে উঠছে না তখন নিউজিল্যান্ড প্রথম থেকেই করোনার বিষয়ে কঠোর অবস্থান বজায় রেখেছে। বিশেষ করে সীমান্ত বন্ধ রাখা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা, মাস্ক পরিধান করা, লকডাউন জারিসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের কারণে শুরু থেকেই নিউজিল্যান্ডে সংক্রমণ ও মৃত্যু ছিল একেবারেই কম।
কিন্তু গত দু'মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো কমিউনিটি সংক্রমণের কারণে দেশটিতে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সাংবাদিকদের উদ্দেশে জেসিন্ডা আর্ডার্ন বলেন, আমাদের চারপাশে করোনার কারণে যে হুমকি তৈরি হয়েছে সেসব কথা চিন্তা করে এ বছরের বেশিরভাগ সময়ই সীমান্ত বন্ধ রাখতে হবে বলে মনে করছি।
Advertisement
আর্ডার্ন জানিয়েছেন, সম্প্রতি ৫৬ বছর বয়সী ইউরোপ ফেরত এক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। একই সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় নিউজিল্যান্ডের ওপর পুনরায় কোয়ারেস্টাইন জারি করায় তিনি এর সমালোচনা করেছেন।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান বলছে, নিউজিল্যান্ডে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ২৯০ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ২৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই এখন সুস্থ। দেশটিতে সুস্থ হয়ে উঠেছে মোট ২ হাজার ২শ জন। অপরদিকে বর্তমানে করোনার অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৬৫।
টিটিএন/এমএস
Advertisement