ইতালিতে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই দেশটির প্রধানমন্ত্রী গিসেপে কন্তে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। এক বিবৃতিতে কন্তে জানিয়েছেন, তিনি মঙ্গলবার পদত্যাগ করবেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা রাজনৈতিক অস্থিরতার পর নতুন সরকার গঠনের চেষ্টা চলছে।
Advertisement
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী কন্তে। তার কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তিনি ওই বৈঠকে তার নিজের ইচ্ছার কথা মন্ত্রীদের কাছে ব্যক্ত করবেন। এরপরেই হয়তো তিনি প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাত্তারেলার কার্যালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিতে যাবেন।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা মহামারির কারণে দেশজুড়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার বিরুদ্ধে লড়াই করতে কন্তে হয়তো নতুন সরকার গঠনের পরামর্শ চাইতে পারেন। ইতালিতে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৮৫ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। দেশের অর্থনীতিতে ধস নেমে এসেছে।
গত ১৩ জানুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাত্তিও রেনজি তার ইটালিয়া ভিভা পার্টিকে দল থেকে প্রত্যাহারের পর থেকেই ক্ষমতাসীন জোট ভেঙে পড়েছে। গত সপ্তাহে পার্লামেন্টের আস্থা ভোটে কোনমতে টিকে গেছেন কন্তে। কিন্তু সিনেটের উচ্চ কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। ফলে তার সরকার বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে।
Advertisement
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে পদত্যাগ করেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাত্তিও রেনজি। সংবিধান সংস্কারের পরিকল্পনা করেছিলেন রেনজি। ওই পরিকল্পনার ওপর গণভোটে শোচনীয় পরাজয় দেখে আকস্মিক পদত্যাগ করেন তিনি। মাত্র মাত্র আড়াই বছর ক্ষমতায় থাকার পর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন রেনজি।
করোনার কারণে শুরু থেকেই ইতালিতে ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এক বছরের বেশি সময় আগে চীনে করোনার প্রাদুর্ভাবের পর পরই ইতালিতে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। তারপর থেকেই ইতালি যেন এক মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছিল।
ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সে সময় ইতালিতে সংক্রমণ ও মৃত্যু ছিল সবচেয়ে বেশি। ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান বলছে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ লাখ ৭৫ হাজার ৩৭২। এর মধ্যে মারা গেছে ৮৫ হাজার ৮৮১ জন। ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ১৮ লাখ ৯৭ হাজার ৮৬১ জন। বর্তমানে সেখানে করোনার অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৪ লাখ ৯১ হাজার ৬৩০।
টিটিএন/জেআইএম
Advertisement