শনিবার চীনের যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশসীমায় প্রবেশের পর রোববার আবারও নতুন করে ১২টি যুদ্ধবিমানসহ মোট ১৫টি বিমান উড়ে গেছে দেশটির আকাশে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্ব নেয়ার পরপরই তাইওয়ান ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
Advertisement
চীন তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে। গত কয়েক মাসে দ্বীপরাজ্যটির কাছে সামরিক তৎপরতা বাড়িয়েছে চীন। সাধারণত চীনের পরিদর্শক বিমান তাইওয়ানের সমুদ্রের আকাশে প্রবেশ করলেও যুদ্ধবিমান প্রবেশের ঘটনা বেশ বিরল।
শনিবার চীনের আটটি বোমারু ও চারটি ফাইটার জেট বিমান তাইওয়ানের দক্ষিণপশ্চিমের বিমান প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ অঞ্চলে অনুপ্রবেশ করে বলে জানায় দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
তাইওয়ান জানায়, রোববার চীনের ১৫টি বিমান তাদের আকাশসীমায় আবার প্রবেশ করেছে। এগুলো হল ৬টি জে-টেন ফাইটার, চারটি জে-সিক্সটিন, দুটি এসইউ-থার্টি একটি ওয়াই-এইট পর্যবেক্ষক বিমান ও দুটি ওয়াই-এইট অ্যান্টি-সাবমেরিন বিমান।
Advertisement
এর বিপরীতে তাইওয়ানও তাদের বিমান পাঠিয়েছে বলে জানানো হয়। মন্ত্রণালয় জানায়, ‘চীনের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে বিমানের আক্রমণমূলক সতর্কতা দলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, রেডিও সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে।’
এ ঘটনায় চীন এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। এর আগে চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, দেশের অখণ্ডতা রক্ষায় এবং যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের ‘ষড়যন্ত্র’ রুখতে সতর্কতা হিসেবে তারা এসব কার্যক্রম চালাচ্ছে।
চীনের এই কার্যক্রমে ওয়াশিংটনের উদ্বেগ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শনিবার তাওয়ানের ওপর চাপ কমাতে চীনের প্রতি আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র। বাইডেনের প্রশাসন জানায়, তাইওয়ানের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি ‘পাথরের মতো শক্ত’।
এদিকে শনিবার মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস থিওডোর রুজভেল্টের নেতৃত্বে একটি নৌবহর দক্ষিণ চীন সাগরে প্রবেশ করে। ‘সমুদ্রের স্বাধীনতার’ প্রতি জোর দিতে এই অপারেশন চালানো হয়েছে বলে জানায় মার্কিন নৌবাহিনী।
Advertisement
এমকে/এমকেএইচ