করোনা মহামারির মাঝে বিধি নিষেধ মেনে গার্মেন্টসগুলো খোলার নিয়ম থাকলেও তা মানছেন না অধিকাংশ পোষাক কারখানা মালিক। শনিবার (২৩ জানুয়ারি) ‘কোভিড-১৯ বিবেচনায় পোশাক খাতে দুর্বলতা, সহনশীলতা এবং পুনরুদ্ধার : জরিপের ফলাফল’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সংলাপে উপস্থাপন করা প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
Advertisement
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ডেভেলপমেন্টের (সিইডি) ম্যাপড ইন বাংলাদেশ (এমআইবি) প্রকল্প যৌথ এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সঙ্কট শুরুর সাত মাস পর গত অক্টোবরে শ্রমিকদের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে জরিপ পরিচালনা করে সিপিডি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কারখানা কর্তৃপক্ষ শুরুতে শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য মাস্ক, স্যানিটাইজার ও তাপমাত্রা পরিমাপের উদ্যোগ নিলেও ধীরে ধীরে তা হারিয়ে গেছে।
Advertisement
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়,সরকার যে প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়েছে, সেখান থেকে ঋণ পেতে ৫২ শতাংশ কারখানা আবেদনই করেনি। এছাড়া এই সময়ে ২৩২টি বা ৭ শতাংশ কারখানা বন্ধ হয়েছে। লে অফ ঘোষণা করেছে মাত্র ২ দশমিক ২ শতাংশ কারখানা। বন্ধ হয়ে যাওয়া এসব কারখানার মধ্যে ৭০ শতাংশ তাদের শ্রমিকদের বেতন দিতে পেরেছে। আর কারখানা বন্ধ হয়ে গেলে শ্রমিকদের আরও যেসব সুবিধা দেওয়ার কথা, তা দিতে পেরেছে মাত্র ৪ শতাংশ।
বন্ধ হয়ে যাওয়া এসব কারখানার উদ্যোক্তাদের কিভাবে আবার ব্যবসায় ফিরিয়ে আনা যায়, সে বিষয়ে সরকারের নজর আশা করছে সিপিডি।
সভায় বিকেএমইএর ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. হাতেম বলেন, ‘যাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তার ভালো যোগাযোগ রয়েছে তারাই প্রণোদনার ঋণ পাচ্ছেন আবার যাদের সঙ্গে নেই তারা পাচ্ছেন না।’
সিপিডি চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান ছাড়াও অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ম্যাপড ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক সৈয়দ হাসিবুল হোসাইন, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন প্রমুখ।
Advertisement
এসএম/এমএইচআর/জিকেএস