জাতীয়

আর্মি ও এয়ার ফোর্স অ্যাক্ট সংসদে উত্থাপিত

আর্মি (এমেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট ২০১৫ ও এয়ার ফোর্স (এমেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট ২০১৫ শীর্ষক বিল জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। বিলে ১৯৭৬ সালের অধ্যাদেশে ব্যবহৃত সামরিক বাহিনীর প্রধানের পদবী ‘কমান্ডার ইন চিফ’-এর পরিবর্তে ‘চিফ অব আর্মি স্টাফ’ এবং বিমান বাহিনীর প্রধানের পদবী ‘কমান্ডার ইন চিফ’-এর পরিবর্তে ‘চিফ অব এয়ার স্টাফ’ পদবী প্রতিস্থাপন করা হয়। একইসঙ্গে ক্যাডেট কলেজ (এমেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট ২০১৫ বিল সংসদে উত্থাপিত হয়।স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে  সোমবারের বৈঠকে বিল ৩টি উত্থাপন করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। পরে বিল ৩টি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে প্রেরিত হয়।বিলে বলা হয়, সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধনী) আইন ২০১১ দ্বারা সংবিধানের চতুর্থ তফসিলের ১৮ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হওয়ায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে জারিকৃত অধ্যাদেশসমুহ কার্যকারিতা হারায়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দ্যা আর্মি (এমেন্ডমেন্ট) অর্ডিন্যান্স ১৯৭৬ ও দ্যা এয়ার ফোর্স (এমেন্ডমেন্ট) অর্ডিন্যান্স ১৯৭৬ শীর্ষক অধ্যাদেশ দু’টি উক্ত সময়ের মধ্যে জারি হয়েছিল।সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী ও সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের রায়ের প্রেক্ষিতে সৃষ্ট আইনি শূন্যতা সমাধানকল্পে ২০১৩ সালের ২১ জানুয়ারি সংসদ অধিবেশনে না থাকায় রাষ্ট্রপতি একটি অধ্যাদেশ জারি করেন। এছাড়া সংবিধানের ৯৩(২) অনুচ্ছেদের নির্দেশনাপূরণের জন্য ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে জারিকৃত কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকরণ (বিশেষ বিধান) আইন ২০১৩ প্রণীত হয়।বিল দু’টির উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অধ্যাদেশটির অধীন বিধানসমুহের কার্যকাররিতা জনস্বার্থে বহাল ও অক্ষুন্ন রাখার লক্ষ্যে নতুন আইন করা প্রয়োজন। এ লক্ষে বিলটি প্রণয়ন করা হয়েছে। বিল দু’টি আইনে রূপান্তরিত হলে ১৯৭৬ সালের অধ্যাদেশে ব্যবহৃত সামরিক বাহিনীর প্রধানের পদবী ‘কমান্ডার ইন চিফ’-এর পরিবর্তে ‘চিফ অব আর্মি স্টাফ’ এবং বিমান বাহিনীর প্রধানের পদবী ‘কমান্ডার ইন চিফ’-এর পরিবর্তে ‘চিফ অব এয়ার স্টাফ’ পদবী প্রতিস্থাপিত হবে।ক্যাডেট কলেজ (এমেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট ২০১৫ বিলে ক্যাডেট কলেজ (এমেন্ডমেন্ট) অর্ডিন্যান্স ১৯৬৪-এর অনুচ্ছেদ ৪এ পরিমার্জন করে ‘কনস্টিটিউশন অব দ্য কাউন্সিল অব ক্যাডেট কলেজ’ হিসেবে নতুনভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।  এতে বলা হয়েছে, কাউন্সিল অব ক্যাডেট কলেজের প্রধান হবেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবেন একই মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব।এছাড়া কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি, অর্থমন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (অর্থবিভাগ), শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব, বাংলাদেশ আর্মির শিক্ষা বিষয়ক উইংয়ের পরিচালক, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও নৌ বাহিনীর প্রধানের মনোনীত ২জন প্রতিনিধি, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ও সব ক্যাডেট কলেজের অধ্যক্ষ পদাধিকার বলে কাউন্সিলের সদস্য হবেন।বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৬৪ সালে জারিকৃত ক্যাডেট কলেজ (এমেন্ডমেন্ট) অর্ডিন্যান্সটি ১৯৭৬, ১৯৭৮ ও ১৯৭৯ সালে দ্য ক্যাডেট কলেজ (এমেন্ডমেন্ট) অর্ডিন্যান্স শিরোনামে সংশোধিত হয়। অধ্যাদেশ তিনটি সেনা সদরের এডজুটেন্ট জেনারেলের (সমন্বয়) শাখা ক্যাডেট কলেজ পরিচালনার আবশ্যকতা বিবেচনা করে আইনে পরিণত করার প্রস্তাব করেছে। নতুন আইনের খসড়া বিল মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে। আইনমন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগ বিলটি ভেটিং করেছে।এইচএস/এসকেডি/আরআইপি

Advertisement